চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কবরী রোডে আব্দুল কুদ্দুস টেকনিক্যালে কৌশলে শাটারের তালা খুলে দেড় লক্ষাধিক টাকার যন্ত্রাংশ চুরি

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। শহরের সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। রাত হলেই যেন চিন্তা বেড়ে যায়। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানানো হলেও থেমে নেই চোরের দল। একের পর এক চুরির ঘটনায় উদ্বিগ্ন জেলা শহরের সাধারণ মানুষ।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কবরী রোডে অবস্থিত আব্দুল কুদ্দুস টেকনিক্যালের স্বত্বাধিকারী আব্দুল কুদ্দুস গত শনিবার রাত ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি গতকাল রোববার সকালে দোকান খুলে দেখেন দোকানের শাটারের তালা খোলা এবং মালামাল এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। এছাড়া মোটরসাইকেলের বেশ কিছু মূল্যবান যন্ত্রাংশসহ কয়েকটি মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন চুরি হয়ে গেছে।

ভুক্তভোগী আব্দুল কুদ্দুস জানান, আমি শনিবার রাত ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাই। গতকাল সকালে দোকান খুলে দেখি দোকানের শাটারের তালা খোলা এবং মালামাল এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। তার দোকানের থাকা সিজি ১২৫ সিসি ইঞ্জিন, ডায়াং ১১০ সিসি ইঞ্জিন, চায়না ৮০ সিসি ইঞ্জিন, হিরোহোন্ডা মোটরসাইকেলের দুটি হাইড্রোলিক, দুটি শান মেশিন, একটি ড্রিল মেশিন, ওয়েল্ডিং মেশিনের ক্যাবলসহ বেশ কিছু দামি যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা। পরবর্তীতে আমি বিষয়টি স্থানীয় কিছু লোকজনকে জানাই। তারা সদর থানায় বিষয়টি জানাতে এবং সাধারণ ডায়েরি করতে বললে আমি একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।

এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শহরে পুলিশি অভিযান থাকা সত্ত্বেও কেন শহরের সব জায়গায় চুরি হচ্ছে? পুলিশ প্রশাসন কি নামমাত্র টহল দিচ্ছে? পুলিশ সুপারের কর্যালয় সংলগ্ন বাড়ি ও পুলিশের বাড়ি থেকে যদি চুরি হয়ে যায় তবে সাধারণ জনগণের বাড়িতে চুরি তো হবেই। পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে দিনদুপুরে চুরি হয়ে যাচ্ছে মোটরসাইকেল।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি লিয়াকত হোসেন জানান, আব্দুল কুদ্দুস টেকনিক্যালের স্বত্বাধিকারী আব্দুল কুদ্দুস থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। চোর সিন্ডিকেট ধরতে পুলিশের জোর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে শুধু পুলিশি অভিযান নয় জনগণকেও সচেতন হতে হবে এবং তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে।

গত ২৫ জুলাই চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম বেনজীরের এতিখানা রোডের ভাড়া বাড়িতে চুরি, সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজপাড়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এএসআই ওহিদুল ইসলামের ভাড়ার বাসায় চুরি, একই পাড়ায় সাবেক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা হোসেন আলীর বাড়িতে চুরি, গত ৩০ জুন রাতে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সংলগ্ন গোল্ডব্যবসায়ীর বাড়িতে চুরি, গত ১২ জুলাই বাদুরতলায় মোটরসাইকেল যন্ত্রাংশের দোকান সোনালী অটোতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। এছাড়া দৈনন্দিন মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা তো আছেই।