মাথাভাঙ্গা মনিটর: এসএসসি পাস করতেই যেখানে মানুষের ১৫/১৬ বছর লেগে যায়, সেখানে কেউ ১৫ বছরে পিএইচডিতে ভর্তি হতে পারে সেটি ভাবাই যায় না। মাত্র ৫ বছর বয়সে নবম শ্রেণিতে পড়তো ভারতের সুষমা ভার্মা। ১৩ বছর বয়সে শেষ করেছে বিএসসি ডিগ্রি। আর ১৫ বছর বয়সে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি সম্পন্ন করে ভারতের সর্বকনিষ্ঠ পোস্ট গ্রাজুয়েট হিসেবে নাম লিখিয়েছে সুষমা। তবে এবার সর্বকনিষ্ঠ পিএইচডি ডিগ্রিও লাভ করতে যাচ্ছে সুষমা। লক্ষ্ণৌয়ের বাবা সাহেব ভিমরাও আমেবদকার ইউনিভার্সিটি থেকে পরিবেশ বিষয়ক মাইক্রোবায়োলজিতে পিএইচডি করছেন। তার ছোট ভাই-বোনরাও তার মতোই মেধাবী। সুষমার ছোট ভাই শৈলেন্দ্র বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেছেন ১৪ বছর বয়সে। তার তিন বছর বয়সী বোন অনন্যা এখনই রামায়ন পড়তে পারে। পারে হিন্দি ও ইংরেজিতে কবিতা আবৃত্তি করতে। গত জুনেই মাইক্রোবায়োলজিতে এমএসসিতে প্রথম স্থান অধিকার করে সুষমা। আর পরিবেশ বিষয়ক গবেষণার পরীক্ষায় সে সপ্তম স্থান অধিকার করে।
মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান বলেন, পিএইচডিতে চারটি আসন ফাঁকা আছে। তিনটি সাধারণ ক্যাটাগরিতে এবং একটি রিজার্ভ। সুষমাকে বিশেষ ব্যবস্থায় ভর্তি করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেন, সুষমার মেধাকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তার জন্য হোস্টেলে আসন এবং স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সুষমার বাবা তেজ বাহাদুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনিটেশনে সহকারী পর্যবেক্ষক এবং মা ছায়া দেবী গৃহিণী।