মানবপাচার : থাইল্যান্ডে বাংলাদেশিসহ ৭২ জনের বিচার শুরু
মাথাভাঙ্গা মনিটর: মানবপাচারে জড়িত অভিযোগে থাইল্যান্ডে সেনাবাহিনীর একজন জেনারেল, রাজনীতিবিদসহ ৭২ জনের বিচার শুরু হয়েছে, যাদের মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কয়েকজন নাগরিকও আছেন। আসামিদের মধ্যে অন্তত ৩০ জনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে বলে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, অভিযুক্তদের অধিকাংশই থাইল্যান্ডের নাগরিক। এছাড়া থাইল্যান্ডে আটক মিয়ানমার ও বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন নাগরিকও আছেন। গত মে মাসে মালয়েশিয়া সীমান্তবর্তী থাইল্যান্ডের একটি জঙ্গলে পাচারকারীদের পরিত্যক্ত আস্তানায় গণকবর পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাগর পথে মানবপাচার নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপর মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড উপকূলে সাগরে ভাসমান অবস্থায় পাচারকারীদের কয়েকটি নৌকা থেকে কয়েক হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়, যারা বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য। মিয়ানমারে সরকারের নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গারা গত কয়েক বছর ধরেই সমুদ্রপথে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিবেশী মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশ থেকেও কাঠের নৌকা বা মাছ ধরার ট্রলারে করে নিয়মিত মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টার ঘটনা ঘটছে। এসব অভিবাসন প্রত্যাশীদের পাচারকারীরা বিপজ্জনক সমুদ্রপথে ট্রলারে করে থাইল্যান্ডে নিয়ে যান। গভীর জঙ্গলে বিভিন্ন শিবিরে তাদের আটকে পাচারকারীরা তাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করতো বলেও সেখান থেকে মুক্তি পাওয়ারা জানিয়েছেন। পাচারকারীদের নির্যাতনে প্রাণ হারান অনেকে।
অভিযুক্ত ৭২ জনের বিরুদ্ধে মানবপাচার, বহুজাতিক অপরাধ নেটওয়ার্কের হয়ে কাজ করা এবং বিদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের মুখপাত্র ওয়ানচাই রোজানাভং বলেন, আমরা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আইনের ঊর্ধ্বে যেতে দেবো না। আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। চক্রটি আন্তর্জাতিক এবং এখানে বহু লোক জড়িত। মৃতদেহগুলো খুঁজে পাওয়ার পর আমাদের দেশের ভাবমূর্তি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।