মানবতার সরেজমিন পরিদর্শন : মামলার প্রস্তুতি
স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার খাদিমপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে একই গ্রামের যুবক ফারুক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফারুক ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ধর্ষিতা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। ফারুক বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে স্কুলছাত্রীর গর্ভপাত ঘটানোর জন্য নানাভাবে চেষ্টা করে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা মানবতা ফাউন্ডেশনে আইনি সহায়তা চেয়ে আবেদন করা হয়। গতকাল মানবতার নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিন খাদিমপুর গ্রাম পরিদর্শন করে।
মানবতা ফাউন্ডেশন এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর গাংপাড়ার হাসমত আলীর ছেলে ফারুক (২১) একই গ্রামের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গত ১১ জুলাই ওষুধ খাইয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার চেষ্টা করলে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে সালিসের আয়োজন করা হয়। সালিসে ফারুককে বিয়ে করার জন্য বলা হয়। ফারুক বিয়েতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ৫০ হাজার টাকায় বিষয়টি মীমাংসা করার প্রস্তাব দেয়। স্কুলছাত্রী ও তার অভিভাবক টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানালে সালিস ভেস্তে যায়। আইনি সহায়তা চেয়ে ধর্ষিতা মানবতা ফাউন্ডেশনে আবেদন করে। আবেদন পেয়ে গতকাল দুপুরে মানবতার নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিনে পরিদর্শন করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সমন্বয়কারী মনিরা আফরোজ, প্যানেল আইনজীবী অ্যাড. জীল্লুর রহমান জালাল, মোটিভেশন কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা ঝুমুর। মানবতার প্রতিনিধিদল এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে স্কুলছাত্রীর আইনি সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন। মামলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।