হাটগোপালপুর ক্যাম্পের এএসআই আনিস ক্লোজ

স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহের হাটগোপালপুর ক্যাম্পের এএসআই আনিসুর রহমানকে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। এ সহকারী দারোগার কর্মকাণ্ড নিয়ে বিব্রত জেলা পুলিশ প্রশাসন। তার  বিরুদ্ধে দায়ের করা হচ্ছে বিভাগীয় মামলা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ খবর নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ।

সূত্রে জানা গেছে, হরিণাকণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের কাছে এক ব্যক্তির বাড়িতে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করার সময় এএসআই আনিসুর রহমানকে এলাকার লোকজন আটক করে। খবর পেয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি এরশাদুল কবীর তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সার্কেল এএসপি গোপিনাথ কাঞ্জিলাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ২১ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। পরের দিন ওই এএসআইকে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।

এদিকে সদর উপজেলার হাটগোপালপুর ক্যাম্পে কর্মরত এএসআই কিভাবে পাশের উপজেলা হরিণাকুণ্ডুতে গেলেন তা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছরে তিনি ঢাকা থেকে বদলি হয়ে এ জেলায় আসেন এবং ৮ জানুয়ারি হরিণাকুণ্ডুর ভবানীপুর ক্যাম্পের টু-আইসি  হিসেবে যোগদান করেন। প্রায় পৌনে ৭ মাস পরে গত ২১ জুলাই রাতে (ধরা পড়ার আগে) এএসআই আনিসুর রহমান মহেশপুরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। এর আগে তিনি গত ২০ জুলাই হাটগোপালপুর ক্যাম্পে যোগদান করেন।

ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের আইসি ফরিদ উদ্দীন বলেন, চলতি বছরের গোড়ার দিকে ৮ সপ্তার প্রশিক্ষণে চলে যান তিনি। তিনি আরো জানান, ওই সময়ে ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন এএসআই অনিস। এ সময়ে ভবানীপুর গ্রামের তালাকপ্রাপ্ত একটি মেয়ের (২০) সাথে প্রেমসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনার দিন রাতে আনিসুর ওই বাড়িতে অবস্থান করছিলো এবং গ্রামবাসী তাকে আটক করে মর্মে স্বীকার করেন আইসি ফরিদ উদ্দীন। তিনি ফোনে আরো বলেন, খবর পেয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার ওসির নেতৃত্বে তাকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রথমে হরিণাকুণ্ডু ও পরে ঝিনাইদহ থানায় সোর্পদ করা হয়। আনিসুর রহমান ওই মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে মর্মে দাবি করলেও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। যশোর জেলা শহরের আরবপুরে বাড়ি এ এএসআইয়ের স্ত্রী ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। তারা ঢাকায় বসবাস করে। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতার বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।