হত্যাচেষ্টা মামলায় মেয়র নাছির ও এমপি হাজারী বেকসুর খালাস

 

স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রামে ২২ বছর আগে একজন ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন সিটি মেয়র নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং ফেনীর সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ আসামিদের সবাই। চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ নূরুল হুদা গতকাল বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও চট্টগ্রামের জেলা পিপি আবুল হাশেম জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত ১৭ আসামির সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১৪ জুলাই আদালত এই মামলায় রায়ের দিন ঠিক করে দিয়েছিলেন। আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং সংসদ সদস্য নিজাম হাজারী ছাড়াও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২০ দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ হাসনী এই মামলায় আসামি ছিলেন।

১৯৯৩ সালের ২৪ জানুয়ারি নগরীর লালদীঘি ময়দানে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় সেই সময়কার নগর ছাত্রলীগ নেতা সুফিয়ান সিদ্দিকীর ওপর অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা হয়। এ ঘটনায় সুফিয়ান সিদ্দিকী বাদী হয়ে নাছিরসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। ওই বছর ৭ মার্চ সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলার ১২ সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সাক্ষীদের অধিকতর জেরার আবেদন করে আসামিপক্ষ। ওই আবেদন নাকচ হলে একজন আসামি উচ্চ আদালতে ১৯৯৪ সালে রিভিশন মামলা করেন। মামলা স্থগিত চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদনও করেন একজন আসামি। সেই থেকে মামলাটি স্থগিত ছিল। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর গত বছর মার্চ মাসে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ রিভিশন মামলায় আদেশ দেয়। এতে আগের ৮ সাক্ষীকে আবার জেরা এবং ৬ মাসের মধ্যে মামলাটি শেষ করতে বলা হয়।

এক বছর পর ওই আদেশ চট্টগ্রামের আদালতে পৌঁছুলে ৬ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়। ২৮ এপ্রিল নির্বাচনে জিতে চট্টগ্রামের মেয়র হন নাছির। তার বিরুদ্ধে এই মামলা ছাড়াও ১৯৯৩ সালের ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেলে তিন খুন, ১৯৯৪ সালে ইসলামিয়া কলেজে দু খুন এবং ১৯৯৯ সালে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ছাত্রলীগের একজন নেতাকে হত্যাচেষ্টার মামলা ছিলো। এর মধ্যে হত্যা মামলা দুটিতে তিনি বেকসুর খালাস এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় অব্যাহতি পেয়েছেন বলে নির্বাচনের আগে দেয়া হলফনামায় জানিয়েছিলেন।