প্রাগপুরের মতিনকে যুবলীগ নেতা আশরাফুলের মারধর

বিদ্যালয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে নেয়া ৯০ হাজার টাকা ফেরত দিতে চাপ

 

স্টাফ রিপোটার: বিদ্যালয়ে নিয়োগের টাকা নেয়াকে কেন্দ্র করে আলমডাঙ্গা এলাকার বিশিষ্ট ক্রীড়ানুরাগী মধুর ছোট ভাই মতিনকে বেদম পিটিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের যুবলীগ নেতা আশরাফুল ও তার লোকজন। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে মতিন নিজ বাড়ি প্রাগপুর থেকে আলমডাঙ্গায় যাওয়ার পথে ওসমানপুর বাজারস্থ যুবলীগের অফিসের সামনে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে তাকে নির্মমভাবে পেটানো হয়। এ ঘটনার জের ধরে যুবলীগ অফিসের সামনে পরস্পর দু গ্রুপের ব্যানার ও বাবুলের দোকানের শাটার কোপানোর অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, বেশ কিছুদিন আগে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ওসমানপুর-প্রাগপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন প্রাগপুর গ্রামের কাবের আলীর ছেলে এলাকার বিশিষ্ট ক্রীড়ানুরাগী মিজানুর রহমান মধু। সে সময় পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর গ্রামের আফসার আলীর ছেলে টুটুল ওই বিদ্যালয়ে চাকরি নেয়ার জন্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান মধুর সাথে পরামর্শ করে বিদ্যোৎসাহী সদস্য একই গ্রামের বাবুলের নিকট ৯০ হাজার টাকা দেন। এ টাকা গ্রহণ সত্ত্বেও ওই কমিটি তাকে নিয়োগ দিতে না পারায় এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা শুরু হয়। ইউনিয়ন যুবলীগ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম চাকরি দেয়ার নামে নেয়া টুটুলের ৯০ হাজার টাকা ফেরত দিতে মধুকে চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন। এ নিয়ে আশরাফুলের সাথে মধুর তিক্ত সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। মধুর বক্তব্য ওই টাকা তিনি হাতে নেননি, বাবুল নিয়েছেন। বাবুল ও প্রধান শিক্ষক মিলে বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করেছেন। বিষয়টি সত্য কি-না তা তার সাথে বসলেই বোঝা যাবে। সত্য হলে তারা টাকা ফেরত দেবেন। এ নিয়ে টুটুলের বড় ভাই ঈদের পরদিন ওসমানপুর ফাঁড়িতে অভিযোগ করেন। আইসি দরবেশ অভিযোগের ভিত্তিতে বাবুলকে জিজ্ঞাসা করেন তিনি টাকা কী করেছেন? সে সময় বাবুল বিদ্যালয়ের উন্নয়নে তা ব্যয় করেছেন দাবি করে প্রধান শিক্ষকের সিল-স্বাক্ষরিত বিল-ভাউচার দেখান। এ ক্ষেত্রে সালিসে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতি প্রয়োজন। সেজন্য গতকাল ২২ জুলাই সালিস হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু টুটুল উপস্থিত না থাকায় তা ভেস্তে যায়। এ অবস্থায় গতকাল সকাল ১০টার দিকে মধুর ছোট ভাই মতিন মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে বের হয়ে আলমডাঙ্গায় যাচ্ছিলেন।

এলাকাবাসী জানায়, সে সময় মতিন ওসমানপুর বাজারস্থ যুবলীগের অফিসের সামনে উপস্থিত হলে যুবলীগ নেতা আশরাফুল ও তার লোকজন তাকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করে। এএসআই দরবেশ জানিয়েছেন, মতিনকে নির্মমভাবে পেটানোর ঘটনা জানতে পেরে সদ্য যুবলীগে যোগদানকারী গ্রামের প্রভাবশালী নেতা বাবুল, হাসান, শরিফুল যুবলীগ অফিসের সামনের ব্যানার কুপিয়েছে। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে পরে আশরাফুল ও তার লোকজন বাবুলের দোকানের শাটার কুপিয়েছে। মিজানুর রহমান মধু অভিযোগ করে বলেন, ইতঃপূর্বে আশরাফুল বাহিনী আওয়ামী লীগ নেতা সুন্নত আলীকে লাঞ্ছিত করে। আর গতকাল তার সহজ-সরল ছোট ভাইকে বিনা অপরাধে অপহরণ করার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু আশপাশের মানুষ বাধা দেয়ায় তা পারেনি। তাকে যুবলীগের অফিসে নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়েছে।

Leave a comment