চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাসপাতালে দালালবিরোধী অভিযান
স্টাফ রিপোর্টার: সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সাথে নানা কৌশলে প্রতারণার দায়ে লালুকে (২৫) তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দু হাজার টাকা জরিমানা আনাদায়ে আরো দু দিনের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তথা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম মামুন উজ্জামান পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ও দণ্ডাদেশ দেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছদ্মবেশে ঘুর ঘুর করে বেশ কয়েকজন দালাল। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী সাধারণকে নানাভাবে প্রভাবিত করে কখনো ক্লিনিকে, কখনো তাদের পছন্দের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে কমিশন নেয়। এতে প্রতারিত হয় রোগী। এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের। মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের ধরাও হয়। গতপরশু চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের নবাগত অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর ইউনুস আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দালালবিরোধী অভিযান চালান। হাতেনাতে ধরা পড়ে বেলগাছি রেলগেটপাড়ার হাবিবুর রহমান হবির ছেলে লালু। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে সোপর্দ করা হয়। উপস্থিত সাক্ষ্য প্রমাণ পরীক্ষা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত দণ্ডবিধির ১৮৮ ধরায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন দিনের কারাদণ্ড, দু হাজার টাকা জরিমানা আনাদায়ে আরো দু দিনের কারাদণ্ডাদেশ দেন। জরিমানার টাকা গতকালই তার পিতা পরিশোধ করেন বলে জানা গেছে।
সূত্র বলেছে, লালু ধরা পড়ার পর সে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে। একজন চিকিৎসকসহ বেশ কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে দেয়া তথ্য দেয়। লালুর দেয়া তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তথ্য পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বলেন, শাদা পোশাকে মাঝে মাঝেই অভিযান চালানো হবে। কেউ ধরা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডিবি ওসি বলেছেন, অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।