কৃষিঋণ প্রদানের মাধ্যমে বেকার যুবকদের স্বনির্ভর করতে হবে

চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষিঋণ কমিটির সাথে মতবিনিময় ও আলোচনাসভায় নবাগত জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষিঋণ কমিটির সাথে নবাগত জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের মতবিনিময় ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে মতবিনিময় ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষিঋণ কমিটির আয়োজনে জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা কৃষিঋণ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদস্য সচিব আমির হোসেন, সহকারী কমিশনার জিসিও সোনিয়া হাসান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুনউজ্জামান, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ কামরুল হাসান, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাফিজ ও বাংলাদেশ ব্যাংক রাজশাহী শাখার উপপরিচালক বদর উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন বিআরডিবি ব্যাংকের উপপরিচালক শেখ ফিরোজ আহমেদ, জেলা সমবায় অফিসার মঞ্জুর কাদেরসহ সোনালী, জনতা, অগ্রণী, বিকেবি, রূপালী, উত্তরা, পুবালী, কর্মসংস্থান, ইউসিবিএল, ইসলামী, কেন্দ্রীয় সমবায়, বিআরডিবি, ব্র্যাক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, শাহজালাল ইসলামী ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ।

মতবিনিময় শেষে আলোচনা সভায় ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে কৃষিঋণ বিতরণ ও আদায়, বিআরডিবির মাধ্যমে বিতরণকৃত ঋণের আদায়, স্বনির্ভর ঋণ বিতরণ ও আদায়, ছাগল উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন জাতীয় কর্মসূচীর আওতায় ঋণ বিতরণ ও আদায়, ৪% সুদে ডাল, তৈলবীজ, মসলা জাতীয় ফসল ও ভুট্টাচাষ খাতে বিতরণ ও আদায় এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলা ভিত্তিক ব্যাংকওয়ারী সার্টিফিকেট মামলার বিবরণী ও নিষ্পত্তি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

কমিটি সূত্রে জানা গেছে, গতমাসে বিতরণকৃত ঋণ আদায়ের হার সোনালী ব্যাংক শতকরা ৯২ ভাগ, জনতা ব্যাংক ৯০ ভাগ, অগ্রণী ব্যাংক ৮২ ভাগ, বিকেবি ৯১ ভাগ, রূপালী ব্যাংক ৮১ ভাগ, উত্তরা ব্যাংক ৭৯ ভাগ, পুবালী ব্যাংক ৯২ ভাগ, কর্মসংস্থান ব্যাংক ৮৫ ভাগ, ইউসিবিএল ০ ভাগ, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ১০৭ ভাগ, কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেড ১০০ ভাগ, বিআরডিবি ৮১ ভাগ, ব্র্যাক ৯৭ ভাগ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ১০০ ভাগ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ১০০ ভাগ ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড ৯০ ভাগ।

প্রধান অতিথি শতভাগ ঋণ আদায়কারী ব্যাংক কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, প্রতিটি ব্যাংককে সরকারি আইন মোতাবেক কাজ করতে হবে। প্রতি অর্থবছরে বরাদ্দকৃত কৃষি ঋণের শতভাগ বিতরণ করতে হবে। কৃষিঋণ দিয়ে বেকার যুবকদের স্বনির্ভর করে দেশকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যেতে হবে। আর যে ব্যাংকে সার্টিফিকেট মামলার পরিমাণ বেশি তারা পুলিশের সহযোগিতায় তা আদায় করবেন। তাছাড়া গ্রাহকদের সঠিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো বয়স্ক মানুষ যেন ব্যাংকে গিয়ে বিড়ম্বনা বা প্রতারণার স্বীকার না হন সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষিঋণ কমিটির সদস্য সচিব আমির হোসেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুনউজ্জামান, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ কামরুল হাসান, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাফিজ ও বাংলাদেশ ব্যাংক রাজশাহী শাখার উপপরিচালক বদর উদ্দিনসহ প্রমুখ।

Leave a comment