সাংবাদিকদের বিক্ষোভ মিছিল স্মারকলিপি পেশ ও কালোব্যাজ ধারণ

জীবননগরে সাংবাদিক আবু সায়েম হত্যা : হত্যা রহস্য উন্মোচনসহ ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

 

জীবননগর ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের সাংবাদিক আবু সায়েমকে পরিকল্পিতভাবেই হত্যা করা হয়েছে। সরাসরি হত্যাকারী পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও হত্যা করতে পাঠানো চক্র ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় আবু সায়েম তার স্ত্রীর নিকট যে তথ্য দিয়েছে তা রোমহর্ষক। আবু সায়েমের স্ত্রী বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলেও চক্রান্তকারীকে গতকাল পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যারহস্য উন্মোচন করে প্রকৃত ঘাতকচক্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাংবাদিকদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।

দৈনিক সমকালের জীবননগর প্রতিনিধি আবু সায়েম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ও হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে গতকাল রোববার সাংবাদিকরা কালোব্যাজ ধারণ করেন। একই সাথে দুপুরে প্রেসক্লাব থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি উপজেলা ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। এ সময় হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ ঘাতকের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরুল হাফিজের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রেরণ করা হয়। অতিদ্রুত হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সভাপতি আনোয়ারুল কবির, সাধারণ সম্পাদক মুন্সি মাহবুবুর রহমান বাবু, আসাদুজ্জামান আসাদ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সদস্য এমএ মামুন, রাজন রাশেদ, সাংবাদিক নারায়ণ ভৌমিক, আতিয়ার রহমান, শামসুল আলম, সালাউদ্দীন কাজল, মুন্সি রায়হান উদ্দিন, কাজী সামসুর রহমান চঞ্চল, এসএম আবুল কালাম আজাদ, আকিমুল ইসলাম প্রমুখ। হত্যার মোটিভ উদ্ধারে সাংবাদিকদের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ঘোষণা দেন ইউএনও নূরুল হাফিজ।

উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই রাতে লাল সালু পরে সাধু সেজে ঘাতক রাজিব সরকার সাংবাদিক আবু সায়েমের শয়নকক্ষে প্রবেশ করে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে। এ সময় সায়েমের চিৎকারে তার বাবা আবুল খায়ের ওরফে বাচ্চু মোল্লা এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় ওই দুর্বৃত্ত। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে আবু সায়েমের অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে যশোর সদর হাতপাতাল নেয়া হয়। পরের দিন ৮ জুলাই ঢাকা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে নিয়ে জরুরি অপারেশন করা হলে বিকেলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর ঘাতক দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুরের মতিয়ার রহমানের ছেলে রাজিব সরকারকে জনগণের সহযোগিতায় জীবননগর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।