আয়কর সনদ যাচাই নিয়ে বিপাকে সাব-রেজিস্ট্রাররা

স্টাফ রিপোর্টার: দলিল রেজিস্ট্রির সময় আয়কর সনদ যাচাই-বাছাই করতে হবে সাব-রেজিস্ট্রারদের। ১ জুন থেকেই দলিল রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে তা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জাল সনদ দিয়ে কেউ দলিল রেজিস্ট্রি করলে তার দায় পড়বে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রারের ওপর। এ জন্য তাতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হবে। সাধারণ আয়কর সনদ জমা দিয়েই এতো দিন দলিল রেজিস্ট্রির কাজ করা হতো। সনদ জাল, না সঠিক তা যাচাই করার কোনো দায়িত্ব সাব-রেজিস্ট্রারদের ছিলো না। এ জন্য তাদের কোনো দায়বদ্ধতাও ছিলো না। নতুন আয়কর আইন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাব-রেজিস্ট্রাররা।
একাধিক সাব-রেজিস্ট্রার জানান, তারা রেজিস্ট্রেশন আইন সম্পর্কে জ্ঞাত আছেন। তবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আয়কর সনদ যাচাই-বাছাই করার সুযোগ তাদের নেই। সাব-রেজিস্ট্রারের দপ্তর কিংবা জেলা রেজিস্ট্রারের দপ্তরে আয়কর বিভাগের কোনো শাখা নেই। তাদের ওয়েবসাইটে ঢুকেও তারা আয়কর সনদ যাচাই করতে পারেন না। বর্তমানে জরিমানার ভয়ে আয়কর সনদ রাজস্ব বিভাগ থেকে সত্যায়িত করার পরই অনেক সাব-রেজিস্ট্রার দলিল রেজিস্ট্রি করছেন। এর ফলে সৃষ্টি হয়েছে নতুন জটিলতা। দলিল করতে আসা একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন, সনদ যাচাই করতে গিয়ে তাদের রাজস্ব বিভাগ ও সাব-রেজিস্ট্রারের দপ্তরে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এতে দলিল রেজিস্ট্রির কাজ পিছিয়ে দিতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, ‘আয়কর সনদ যাচাইয়ের নামে চলছে হয়রানি। রেজিস্ট্রি অফিসে তা যাচাইয়ের সুযোগ না থাকায় দলিল লেখক, সাব-রেজিস্ট্রার ও দলিল রেজিস্ট্রি করতে আসা সবাইকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। রাজস্ব বোর্ডের দায় রেজিস্ট্রেশনের সার্ভিসের ওপর কেন চাপিয়ে দেয়া হয়েছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়।’

Leave a comment