গাংনীর বাওট সোলাইমানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে আবারো উত্তেজনা

 

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাওট সোলাইমানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে আবারো উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ে ক্লার্ক নিয়োগে বাণিজ্য করার লক্ষ্যে প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম তড়ি ঘড়ি করে দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি মামলা হওয়া সভাপতি নিয়ামত আলীকে আবারো পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত করেছেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের অপর প্রার্থী মোলাম হোসেন এসব অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগের পর এবার আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সভাপতি প্রার্থী মোলাম হোসেন।

জানা গেছে, গত ১৬ জুন স্থানীয় একটি পত্রিকায় নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং অফিসার ও গাংনী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মো. জামিল আখতার। মোলাম হোসেন অভিযোগ করে বলেন, প্রকাশিত পত্রিকা গোপন রেখে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। কাউকে ভোটার তালিকা দেয়া হয়নি। প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও সভাপতি নিয়ামত হোসেন ইতঃপূর্বে বিদ্যালয়ে ৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ১৪ লাখ টাকা বাণিজ্য করেছিলেন। এছাড়া বিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে দুর্নীতি করে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য করেছেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের একজন সদস্য আদালতে মামলা করেছিলেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন ঝুলে ছিলো। গত ১০ জুন গোপনে নিজের পছন্দকরা প্রার্থী নিয়ামত আলীকে নিয়ম বর্হিভূতভাবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন করেন প্রধান শিক্ষক।

বিদ্যালয়ে ক্লার্ক নিয়োগ করার জন্য ছাতিয়ান গ্রামের খেদু শেখের ছেলে তারিক হোসেনের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা বাণিজ্য করে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন মোলাম হোসেন। এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে প্রধান শিক্ষকের মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়।