ঢাকা থেকে বাড়ি চুয়াডাঙ্গায় ফেরার পথে বিপত্তি : ক্ষীরা খেয়ে নৈশকোচে বেহুঁশ পাঁচ যাত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা গাবতলীর ফেরিওয়ালার নিকট থেকে ক্ষীরা কিনে খেয়ে চুয়াডাঙ্গাগামী নৈশকোচের ৫ যাত্রী বেহুঁশ হন। গতপরশু রাত ৯টার দিকে গাবতলি থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা হন এরা। গতকাল বৃহস্পতিবার যখন হুঁশ ফেরে তখন দেখে তারা হাসপাতালে। কাছে থাকা নগদ টাকা আর মূল্যবান মালামাল বলতে কিছুই নেই। সবই নিয়ে গেছে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বোয়ালমারীর মাহাতাব উদ্দীনের ছেলে মিলন, দামুড়হুদার গোপালপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে রুবেল, হারুন অর রশিদের ছেলে শাহীন, কালু মল্লিকের ছেলে সেলিম, আলমডাঙ্গার মাজহাদ গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে রুবেল গতপরশু ঢাকা থেকে ফিরছিলেন। গাবতলি থেকে চুয়াডাঙ্গাগামী নৈশকোচ রয়েল এক্সপ্রেসে ওঠেন। কোচ ছাড়ার আগে কোচে ওঠে ক্ষীরাওয়ালা। তার নিকট থেকে ক্ষীরা কিনে খাওয়ার পর ৫ জনই বেঘোরে ঘুমোতে থাকেন। ভোরে চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছুনোর পরও যখন ওদের ঘুম ভাঙছে না দেখেন সুপারভাইজার তখন ডাকাডাকি শুরু করেন। দেখেন সকলেই অজ্ঞান। ৫ জনকে নামিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসার এক পর্যায়ে এরা পর্যায়ক্রমে সুস্থ হতে থাকেন। তিনজন হাসপাতাল ছাড়লেও গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুজন হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৫ জনের নিকট থেকে মোট কতো টাকা খোয়া গেছে তা অবশ্য নিশ্চিত করে জানা সম্ভব হয়নি।

ক্ষীরা খেয়ে প্রতারিত ৫ জনের মধ্যে তিনজন গার্মেন্টস শ্রমিক। ঈদ উপলক্ষে ছুটি পেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। অপর দুজনের মধ্যে একজন আইনজীবী ও অপরজন প্রবাসী। প্রতারিতের মধ্যে দুজন বলেছেন, ক্ষীরা কিনে খেয়ে যে এ হাল হবে তা বুঝতে পারিনি। ক্ষীরা খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বেহুঁশ হয়ে গেছি। কোচের সুপারভাইজাররা দায়িত্বশীল হলে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা অতোটা বেপরোয়া হওয়ার সুযোগ পায় না। ফলে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।