যশোরে ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ কর্তাসহ লাঞ্ছিত কয়েকজন : দু’চাঁদাবাজ বোমাসহ আটক

 

স্টাফ রিপোর্টার: যশোরে সংঘবদ্ধ একটি উচ্ছৃংখল চক্রের হাতে  জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ কর্মকর্তাসহ কয়েকজন লাঞ্ছিত হয়েছেন।
উপশহর মহিলা কলেজের সামনে দুর্বৃত্তদের মারপিটের শিকার এফপিএবি প্রতিষ্ঠানের এক নৈশ্য প্রহরীকে রক্ষা করতে এসে তারা লাঞ্ছিত হন। খবর পেয়ে উপশহর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনায় জড়িত দু’চাঁদাবাজকে ২টি শক্তিশালী বোমাসহ আটক করেছে। আটককৃতরা হচ্ছে, উপশহর বিব্লকের মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন লিটন ও সি ব্লকের নুর মোহাম্মদের ছেলে রেজাউল ইসলাম রেজা। এ ঘটনায় ৮ জুলাই বিকেলে কোতোয়ালী থানায় মামলা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলার ক্ষিতিবদিয়া গ্রামের আরশাদ আলীর ছেলে শামীম রেজা উপশহর মহিলা কলেজের সামনে এফপিএবি প্রতিষ্ঠানের নৈশ প্রহরীর দায়িত্বে রয়েছেন। আর ওই প্রতিষ্ঠানে একটি প্রশিক্ষণ চলছে। ম্যাজিস্ট্রট, সহকারী পুলিশ সুপারসহ ৬ কর্মকর্তা ওই প্রশিক্ষণে রয়েছেন। ৭ জুলাই যথারীতি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন শামীম রেজা। সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬ টার সময় জাকির হোসেন লিটন ও রেজাউল ইসলাম রেজাসহ চার দুর্বৃত্ত ওই প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে প্রহরী শামীম রেজার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে তাকে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে দেবেনা বলে শাসায়। শামীম রেজা চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে চাঁদাবাজরা তার উপর চড়াও হয়ে মারপিট শুরু করে। এ সময় প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণে আসা বিভিন্ন জেলায় কর্মরত প্রশাসনের কর্মকর্তারা মারপিটের খবর পেয়ে নিচে নেমে আসেন। তারা মারপিট থামাতে বললে তেড়ে আসে দুর্বৃত্তরা। এসময় জন প্রশাসন মন্ত্রানালয়ের কর্মকর্তা এইচএম সালাউদ্দিন মঞ্জুসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা লাঞ্ছিত হন। এসংবাদ থানায় পৌঁছালে  উপশহর ফাঁড়ি পুলিশ দু’চাঁদাবাজকে আটক করে। তবে তাদের সাথে থাকা দু’দুর্বৃত্ত পালিয়ে যায়। পুলিশ আটক দু’জনের কাছ থেকে ২টি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে। আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
এদিকে, থানার একটি সূত্র জানিয়েছে, লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা সত্য হলেও চাঁদাবাজির বিষয়টি সত্য নয়। অন্য কারণে মারপিট করা হয় শামীম রেজাকে। ঘটনার দিন প্রধান অভিযুক্ত দু’জনের দু’বড় ভাইকে আটক করে পুলিশ। এরপর তাদের ছাড়াতে ঘটনার দিন সন্ধ্যা  থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত দেন দরবার চলে। পরে আসল দু’অভিযুক্ত লিটন ও রেজা  পুলিশের কাছে সারেন্ডার করলে তাদের দু’ভাইকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।