গুজবে কান দেবেন না

স্টাফ রিপোর্টার: মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতির বিষয়টিকে ‘মিডিয়ার খবর’ বলে উল্লেখ করেছেন এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, মিডিয়ার খবর মিডিয়ার কাছ থেকেই জেনে নিন। এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না জানিয়ে সৈয়দ আশরাফ বলেন, গুজবে কান না দেয়াই ভালো। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ শহরের খরমপট্টি এলাকার বাসভবনে এসে পৌঁছুনোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ এসব কথা বলেন। নিজ আসন কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) এ দু দিনের সরকারি সফরের প্রথম দিনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জের বাসভবনে এসে পৌঁছান। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থানের পর বিকেল ৬টা ৪০ মিনিটে তিনি শহরের সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে কিশোরগঞ্জ জেলা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতার পার্টিতে যোগ দেন। সেখানে ইফতারের পূর্বে মাত্র এক মিনিট বক্তৃতা করেন সৈয়দ আশরাফ। বক্তৃতায় তিনি কিশোরগঞ্জ ও হোসেনপুর উপজেলায় দু দিন দুটি ইফতারে অংশ নিতে এসেছেন জানিয়ে ইফতার আয়োজকদের কৃতজ্ঞতা জানান। ইফতারে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, জেলা প্রশাসক জিএসএম জাফরউল্লাহ্, পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খানসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এলজিআরডি মন্ত্রীর সফরসূচী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সার্কিট হাউজে রাত্রিযাপন শেষে আজ বুধবার দুপুরে সার্কিট হাউজ সম্মেলনকক্ষে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করবেন। পরে যশোদল গ্রামের নিজবাড়ি পরিদর্শন ও সেখান থেকে ফিরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দুস্থ নারীদের মাঝে সেলাইমেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন। পরে সন্ধ্যায় হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ইফতার ও দোয়ার মাহফিলে যোগদান শেষে রাতেই ঢাকার বেইলী রোডের বাসভবনে ফেরার কথা রয়েছে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের অব্যাহতি নিয়ে তৈরি হয়েছে নাটকীয়তা। তাকে এলজিআরডি মন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়টি একাধিক সূত্র নিশ্চিত করলেও বিকালে মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসাইন ভূইয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ ধরণের কোনো তথ্য তার কাছে নেই। সূত্রে জানা যায়, দুপুরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রী পরিষদ সচিবকে ডেকে সৈয়দ আশরাফকে অব্যাহতি দেয়ার সার সংক্ষেপ তৈরি করে নিয়ে যেতে বলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মন্ত্রী বলেন, আজকের একনেক বৈঠকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ উপস্থিত না থাকায় প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। এরপর তিনি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে এ বিষয়ে সারসংক্ষেপ তৈরি করতে বলেন। ওই মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী হয়তো ক্ষোভের মুখে এ ধরনের কথা বলেছেন।