ঈদ ঘিরে কার্পাসডাঙ্গা ও কুড়ুলগাছি সীমান্তে মাদকের বিস্তার

 

স্টাফ রিপোর্টার: ভারত সীমান্ত থেকে মাদক আনা-নেয়ার নিরাপদ পথ হিসেবে কার্পাসডাঙ্গা ও কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের পীরপুরকুল্লা, মুন্সিপুর. ঠাকুরপুর, চাকুলিয়া, হুদাপাড়া, ছোটবলদিয়া ফুলবাড়ির মাঠকে ব্যবহার করায় দামুড়হুদার বিভিন্ন এলাকায় মাদকব্যবসা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। বিজিবি ও পুলিশি অভিযানে ফেনসিডিলসহ দু-চারজন ব্যবসায়ী গ্রেফতার হলেও জামিনে ফিরে এসে ফের তারা জড়িয়ে পড়ছে একই পেশায়। কার্পাসডাঙ্গা ও কুড়ুলগাছি ভারত সীমান্তবর্তী হওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে এ নিরাপদ রুটে মাদকের রমরমা ব্যবসা করে থাকে চোরাকারবারীরা। কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নটি ‘ফেনসিডিলের আড়ত’ হিসেবে পরিচিত থাকলেও ক্রমেই তা বিস্তৃতি পেয়েছে। ফেনসিডিলের পাশাপাশি মদ, গাঁজা, তাড়িসহ বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য খোলামেলা বিক্রি হচ্ছে। বহিরাগতদের পাশাপাশি স্থানীয় যুবকরাও নেশায় জড়িয়ে পড়ায় শঙ্কিত অভিভাবকরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কিছুদিন আগেও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের হুদাপাড়া গ্রামে ফেনসিডিলের বাজার এবং ফেনসিডিল কেনাবেচার নির্দিষ্ট স্থান, এ নিয়ে একটি পত্রিকায় রিপোর্ট ছাপানো হয়। বর্তমানে তা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী জানায়, হুদাপাড়া, মুন্সিপুর, ঠাকুরপুর, চাকুলিয়া, ফুলবাড়ি গ্রামে অবাধে মাদক কেনাবেচা হচ্ছে। এসব পয়েন্টে ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা, তাড়িসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য কেনাবেচার পাশাপাশি রাত-দিন নেশার আসরও বসানো হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা, দামুড়হুদা শহর থেকে প্রভাবশালী বখাটেরা আসে এসব পয়েন্টে। প্রতিদিন শহর থেকে আসা নেশাখোরদের মোটরসাইকেলে ভরে যায় কার্পাসডাঙ্গাসহ পাশের গ্রাম এলাকা। বিশেষ করে শুক্রবার ছুটির দিনসহ বিশেষ দিনে অনেকে আসে কার-মাইক্রোবাস নিয়ে। নিয়মিত বহিরাগত বখাটে যুবকদের আগমনে স্থানীয় স্কুল-কলেজ এলাকায় অহরহ ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা। কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, ‘মাদক পরিবহনের সময় অনেকে গ্রেফতার হয়। কয়েক দিন পর ছাড়া পেয়ে আবারও তারা ওই কাজ শুরু করায় মাদকব্যবসা বন্ধ হচ্ছে না।’