ব্রণ হওয়ার অজানা কারণ

স্টাফ রিপোর্টার: আবহাওয়ার পরিবর্তন, দূষণ, ধূলাবালি, ভুল প্রসাধনী ব্যবহার ইত্যাদি কারণে ত্বকে ব্রণ এবং ৱ্যাশের সমস্যা হতে পারে, এ কারণগুলো সবারই জানা। তবে আরও কিছু কারণে ত্বকে ব্রণের সমস্যা হতে পারে। রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ব্রণ হওয়ার এমনই কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়।

টুথপেস্ট: স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইটটি, একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের বিষয়ে জানায় যে, যিনি তার রোগীদের মুখ ধোয়ার আগে দাঁত মাজার পরামর্শ দেন। কারণ টুথপেস্টের কিছু উপাদান থাকে যা ত্বকে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। ত্বকে জ্বালাপোড়া হওয়া এবং ত্বক শুষ্ক করে ফেলতে পারে টুথপেস্ট। তাছাড়া টুথপেস্টের সাথে মিশে যাওয়া মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়া ঠোঁটের আশপাশে লাগলে ব্রণ হতে পারে। টুথপেস্টের হাইড্রোজেন পারক্সাইড, ফ্লোরাইড, অ্যালকোহল, এসেনশিয়াল অয়েল এবং মেন্থল ত্বকের জন্য সব থেকে বেশি ক্ষতিকর।

চুলের প্রসাধনী: শ্যাম্পুর ফোম বা ফেনা তৈরিকারী উপাদান ত্বকের সংস্পর্শে এসে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে কন্ডিশনারে থাকা তেলজাতীয় উপাদান ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে দেয়। তাই চুলে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহারের পরে মুখ ধুলে ত্বকে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা এড়ানো সম্ভব।

বালিশের কভার: মাথায় ও ত্বকে জমে থাকা তেল এবং জীবাণু রাতে ঘুমানোর সময় বালিশের কভারে লেগে যায়। আর তা থেকে ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি হয়, যা ত্বকে ব্রণ হতে পারে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে গোসল করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তাছাড়া প্রতি সপ্তায় অন্তত একবার বালিশের কভার পরিবর্তন করলেও উপকার পাওয়া যাবে।

টেক এক্সেসরিজ এবং রোদ চশমা: মোবাইলফোন, হেডফোনে ত্বকের তেল, ঘাম, ধুলাবালি লেগে যায়, যা পুনরায় ত্বকের সংস্পর্শে এসে ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে। একইভাবে সানগ্লাসও ত্বকে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে। তাই ফোন, হেডফোন ও সানগ্লাস ব্যবহারের আগে পরিষ্কার করে মুছে নেয়া উচিত।

তোয়ালে: মেইকআপের ব্রাশ, স্পঞ্জ, পাউডার পাফ নিয়মিত পরিষ্কার করা প্রয়োজন। না হলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তবে প্রতিদিনের ব্যবহৃত তোয়ালেও যে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হয় তা অনেকেরই মনে থাকে না। অপরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহারের ফলে ত্বকে ব্রণ ও ফুস্কুড়ি হতে পারে। এজন্য প্রতিবার ব্যবহারের পর তোয়ালে ধুয়ে ফেলতে হবে।

Leave a comment