ঢাকা-কুয়াকাটা ও ঢাকা-যশোর সড়ক চার লেন হবে

স্টাফ রিপোর্টার: পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ঢাকা-যশোর এবং ঢাকা-কুয়াকাটা সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে। গতকাল রোববার সংসদকে একথা জানিয়েছেন সড়ক ও সেতু বিভাগের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর এ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ হবে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ। এ সেতুকে কেন্দ্র করে পায়রা বন্দর পর্যন্ত সড়ককেও চার লেনে উন্নীত করা হবে। এ সম্পর্কিত সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়ে হতে পারে। কর্ণফুলী নদীর টানেল নির্মাণ চুক্তির সময় চীনের দুটি কোম্পানি এ প্রস্তাব দিয়েছে। সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এছাড়াও রেলের অব্যবহৃত জমি, জনবল ও টিকেট ছাপানোর বার্ষিক খরচের বিষয়ও ওঠে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, রেলওয়ের প্রায় ১৩ হাজার একর জমি অব্যবহৃত আছে। সাড়ে চার হাজার বাসা বেদখল রয়েছে। অব্যবহৃত জমিতে কিছু অবৈধ স্থাপনা ও অবকাঠামো আছে। এগুলো পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।

মন্ত্রী আরও জানান, রেলের অব্যবহৃত জমিতে পাঁচ তারকা হোটেল-কাম বাণিজ্যিক ভবন, মোটেল, মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও বহুতল শপিংমল নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের জাকির হোসেন রোডে একটি পাঁচতারকা হোটেল নির্মাণের জন্য উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, খুলনা ও কুমিল্লা স্টেশনে শপিং কমপ্লেক্স কাম গেস্ট হাউজ নির্মাণের জন্য উপদেষ্টা নিয়োগের চুক্তি হয়েছে। সরকারি দলের মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রেলওয়েতে অনুমোদিত জনবলের সংখ্যা ৪০ হাজার ২৬৪। তাদের বেতন খাতে বার্ষিক ব্যয় ৫২৪ কোটি ১০ লাখ ১৯ হাজার টাকা। বর্তমানে বাংলাদেশে রেলওয়েতে প্রতি বছর টিকেট ছাপানো বাবদ বার্ষিক ব্যয় হয় ৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। প্রশ্নোত্তর পর্বের আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয় সংসদ অধিবেশন।