সাত বছর পর বাংলাদেশ-দ.আফ্রিকার লড়াই আজ

স্টাফ রিপোর্টার: প্রায় সাত বছর পর আজ রোববার ক্রিকেটের ছোট ফরম্যাট টি-টুয়েন্টিতে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দুপুর ১টায় দু ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে লড়বে এ দু দল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে মাত্র দুবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়াই করার সুযোগ হয়েছে টাইগারদের। সুযোগ হওয়া দুটি ম্যাচেই হেরেছিলো বাংলাদেশ।

২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে দেখা হয় বাংলাদেশের। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে সেটিই ছিলো দুদলের প্রথম সাক্ষাৎ। আর ওই দেখায় জয়ের স্বাদটা পায় প্রোটিয়ারা। কেপটাউনে ৭ উইকেটে ম্যাচটি জিতে গ্রায়েম স্মিথের দল। এরপর ২০০৮ সালের নভেম্বরে দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সেবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যায় বাংলাদেশ। ওই সফরের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১২ রানে হারে টাইগাররা।

এরপর আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দেখা হয়নি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার। ফলে প্রায় সাত বছর আবারো ছোট ফরম্যাটে লড়বে দুদল। ক্রিকেট ভক্তদের ধারণা লড়াই বেশ জমজমাট হবে। বর্তমানে তুখোড় ফর্মে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে সেটি ওয়ানডেতে। টি-টোয়েন্টিতে সেই ফর্ম বাংলাদেশ প্রদর্শন করতে পারে কি-না, সেটিই এখন দেখার বিষয়। তবে তা প্রর্দশন করতে বেশ কাট-খড় পোড়াতে হবে টাইগারদের। সেরাটা দিতে প্রস্তত বাংলাদেশ দলও। নিজেদের সর্বশেষ ও একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে সেটি করেও দেখিয়েছে মাশরাফির দল। গত এপ্রিলে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সেই জয়ের আত্মবিশ্বাস এখনো টাটকা রয়েছে বাংলাদেশের।

প্রস্তুতিতে শতভাগ, তার প্রমাণ বাংলাদেশ সফরের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিসিবি একাদশকে ৯৯ রানে অলআউট করে দিয়ে অনেকটা বিনা উইকেটেই ম্যাচ জিতে নেয় তারা। দুওপেনার কুইন্টন ডি কক ও এবি ডি ভিলিয়ার্স রিটায়ার্ড অবসর নেয়াতে জয়ের ব্যবধানটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৮ উইকেটে। যাই হোক না কেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার দুম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি যে কিছুটা হলেও জমজমাট হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেই জমজমাটের আবহ কতোটা বিরাজ করে মিরপুর স্টেডিয়াম জুড়ে, সেটিই কাল দেখা যাবে।

বাংলাদেশ স্কোয়াড (সম্ভাব্য): মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, রনি তালুকদার, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, আরাফাত সানি, জুবায়ের হোসেন, সোহাগ গাজী, রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান।

দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোয়াড (সম্ভাব্য): ফাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক), কাইল এ্যাবট, কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), এবি ডি ভিলিয়ার্স, জেপি ডুমিনি, বুরান হেনড্রিকস, ইড্ডি লি, ডেভিড মিলার, ক্রিস মরিস, ওয়েন পার্নেল, অ্যারন ফাঙ্গিসো, কাগিসো রাবাদা, রিলি রোসৌ ও ডেভিড ওয়াইস।