চোরাচালানীরা কতোটা বেপরোয়া না হলে বিজিবির সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে পারে? চোরাচালান সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা প্রায় অসম্ভব হলেও নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই সম্ভব। এজন্য দরকার নানামুখি পদক্ষেপ। চোরাচালান কখনোই দেশের জন্য কল্যাণকর হয়নি, হয় না।
চোরাচালানের দ্রব্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে মাদকজাতীয় দ্রব্য। গরু আনা, স্বর্ণ দেয়া তো আছেই। আগ্নেয়াস্ত্রও যে চোরাচালানীরা পাচার করে আনে তাও অস্বীকার করার জো নেই। বোমা তৈরির বারুদও পাচার করে আনার খবর মাঝে মাঝেই পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন, ক্ষতিকর এসব দ্রব্য পাচার করে আনে যারা তারা কারা? তাদের মধ্যে কি দেশাত্ববোধ বলতে কিছু নেই! আছে, নেই। বাজার প্রতিযোগিতায় অসঙ্গতিতে অস্বাভাবিক লাভ আর অভাব অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিপথগামিতে উৎসাহিত করে।
চোরাচালানের সাথে যারা জড়িত তাদের অধিকাংশই দরিদ্র। এদের যারা কাজে লাগিয়ে রাঘববোয়াল তাদের অর্থলিপ্সতা অন্ধ করে দিয়েছে। সীমান্তবাসীদের মধ্যে যারা চোরাচালান প্রতিরোধে আন্তরিক তাদের অধিকাংশই কথিত দালালদের দাপটের কাছে দুর্বল। সীমান্ত প্রহরীদের কেউ কেউ যে কথিত ওইসব দালালদের মাধ্যমে সহযোগিতা করে তাও অস্বীকার করা যায় না। তা ছাড়া দেশে মাংসের চাহিদা পুরণে গরু পাচারের অঘোষিত সুযোগও চোরাচালানীদের বেপরোয়া করে তুলেছে বললে ভুল বলা হয় না।
চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে রাখতে সীমান্ত প্রহরীদের অপ্রতুলতা দূর করার পাশাপাশি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা দরকার। সীমান্তবাসীদের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে চোরাচালান রোধে তাদের উৎসাহ জোগানোর পাশাপাশি পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান গড়ে তোলা প্রয়োজন।