আন্তঃজেলা ছিনতাই সিন্ডিকেটের ৩ সদস্য গ্রেফতার : মোটরসাইকেল ছিনতাই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আন্তঃজেলা ছিনতাই সিন্ডিকেটের ৩ সদস্যকে গতকাল আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আটক ৩ ছিনতাইকারী উপজেলার গলায়দড়ি ব্রিজ থেকে মোটরসাইকেল ছিনতাই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশের দাবি।

জানা গেছে, গত ৯ জুন রাত ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোষবিলা গ্রামের নিকটবর্তী হরিণাকুণ্ডু উপজেলার সীমান্তবর্তী গলায়দড়ি ব্রিজ নামক স্থানে ছিনতাইকারীরা ঘোষবিলা গ্রামের মৃত নবীন মণ্ডলের ছেলে দুলাল মণ্ডলের মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। মোটরসাইকেলের মালিক তার মোটরসাইকেল উদ্ধারের জন্য নিজেও বিভিন্ন জায়গায় ও ব্যক্তির নিকট যোগাযোগ করেন। এক পর্যায়ে জানতে পারেন রামদিয়ার শলক নামের এক ব্যক্তি আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী সিন্ডিকেটের সমন্বয়কারী। তিনি ছিনতাই করা জিনিসপত্র বিক্রি করে থাকেন। মোটরসাইকেল মালিক শলকের নিকট মোটরসাইকেল উদ্ধারের জন্য সহায়তা চাইলে শলক মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে গত পরশু রাতে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন অর রশিদের নেতৃত্বে সেকেন্ড অফিসার মকবুল হোসেন, এসআই জসিম ও জামজামি ফাঁড়ি পুলিশের আইসি লিয়াকত আলী অভিযান পরিচালনা করে রামদিয়া থেকে শলককে আটক করেন। আটক শলক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনিসহ জড়িত অন্যদের নাম বলে দেন। শলকের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ ওই রাতেই পার্শ্ববর্তী হরিণাকুণ্ডু উপজেলার নারায়ণকান্দি গ্রামে অভিযান চালিয়ে বাথানপাড়ার মৃত পটি মণ্ডলের ছেলে মজনু ও একই গ্রামের বাজারপাড়ার মৃত আলফাজ মণ্ডলের ছেলে কালুকে আটক করে। আটককৃতরা পুলিশের নিকট ছিনতাই ঘটনায় জড়িত ছিলো বলে স্বীকার করেছে। এমনকি ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেলটি কার কাছে আছে তার পরিচয়ও তারা পুলিশের নিকট জানিয়েছে। পুলিশ মোটরসাইকেলটি উদ্ধারসহ অন্যান্য ছিনতাইকারীকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে। আজ রোববার আটককৃতদের সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হবে।

এদিকে, থানা থেকে আটককৃতদের ছাড়িয়ে নিতে জামজামি ইউনিয়নের এক ব্যক্তি আটককৃত এক আসামির আত্মীয়র নিকট থেকে ৫ হাজার ৬শ টাকা ও নাগদাহ ইউনিয়নের অপর এক মেম্বার ৬ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়েছে বলে সেকেন্ড অফিসার মকবুল হোসেন দাবি করে বলেছেন, থানায় দালালের উৎপাত সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছে।