মাথাভাঙ্গা মনিটর: ফ্রান্সে এক মা তার আট নবজাতককে হত্যা করেছেন। এক দশকের বেশি সময় ধরে তিনি এ হত্যাকাণ্ড চালান। আদালত তাকে নয় বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। খবরে জানানো হয়, ৫১ বছর বয়সী ওই বিবাহিত নারীর নাম দমিনিক কোঁৎরেজ। সন্তান হত্যার দায়ে ১৮ বছরের কারাদণ্ড দেয়ার আবেদন জানানো হয়েছিলো। আদালত তাকে নয় বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। আধুনিক ফ্রান্সের ইতিহাসে এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে বীভৎস হত্যাকাণ্ড। দমিনিক কোঁৎরেজ ১৯৮৯ সালে তার প্রথম নবজাতককে হত্যা করেন। ২০০০ সালে সর্বশেষ নবজাতককে মেরে ফেলেন। দমিনিক কোঁৎরেজ থাকতেন ফ্রান্সের দোয়াই শহরের একটি বাড়িতে। তিনি ওই বাড়ি থেকে যাওয়ার পর নতুন একটি পরিবার সেখানে আসে। এই পরিবারের গৃহকর্ত্রী বাড়ির বাগানে শিশুর কঙ্কাল পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে আরও শিশুর কঙ্কাল পায়। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে দমিনিককে খুঁজতে থাকে তারা। দমিনিককে আটকের পর প্রায় চার বছর ধরে তিনি পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, বিচারক ও আইনজীবীদের মিথ্যা গল্প বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালান। দমিনিকের গল্পটা ছিলো এমন, শিশুকালে নিজের বাবা তাকে ধর্ষণ করেছিলেন। বিয়ের পরও বাবা তাকে ধর্ষণ করতেন। এতে এ সন্তানগুলোর জন্ম হতে পারে ধারণা করে তিনি নবজাতকদের মেরে ফেলতেন। গত সোমবার শেষ পর্যন্ত তিনি স্বীকার করেন, তার বাবা তাকে ধর্ষণ করেননি। তার বাবা ২০০৭ সালে মারা গেছেন।