দু নার্সের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সেবিকা সিনিয়র স্টাফ নার্স ফেরদৌস আরা রোকেয়া এবং স্টাফ নার্স শিউলি খাতুন কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাকে অসম্মান এবং অবজ্ঞা করাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে কটুক্তী করার প্রতিবাদে এবং শাস্তির দাবিতে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী, হুইপ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য, সেবা পরিদপ্তরের পরিচালক, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ অভিযোগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিট কমান্ডের সহকারী কমান্ডার মো. আতিয়ার রহমান এ লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৩০ জুন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার জিনতলাপাড়ার প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন কমান্ডার রাষ্ট্রীয় খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দীন মুংলা ঘরের দেয়াল চাপা পড়ে আহত হন। তাকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর সরকারি বিধি অনুযায়ী কেবিনে স্থানান্তর করার কথা থাকলেও প্রেষণে আসা স্টাফ নার্স শিউলি খাতুন এবং ফেরদৌস আরা রোকেয়া সিট খালি নাই বলে জানান। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের চাপে কৌশলে ওই দুজন নার্স একটি কেবিনে ভাগাভাগি করে শফিউদ্দীন মুংলাসহ দুজন রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক যখন মুক্তিযোদ্ধাদেরকে জাতীয় বীর হিসেবে সর্বোচ্চ সম্মানে অধিষ্ঠিত করে রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত করে থাকে সেখানে সরকারি হাসপাতালের সেবিকা শিউলি ও রোকেয়ার খুঁটির জোর কোথায়। তারা দুজনই সিভিল সার্জনের অফিস কক্ষে জেলা কমান্ডারের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। অবিলম্বে স্টাফ নার্স শিউলি খাতুন ও ফেরদৌস আরা রোকেয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেয়া হয়েছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষ থেকে।