দুর্গাপুর-কবিরখালীতে শেয়ালের কামড়ে ৫ কৃষক আহত

ঝিনাইদহের পল্লিতে একের পর এক শেয়ালের আক্রমণ

মুনজুরুল আলম: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার দুর্গাপুর ও কবিরখালী গ্রামে গত দু দিনে শেয়ালের কামড়ে ৫ কৃষক আহত হয়েছেন। মানুষ দেখলেই শেয়াল ছুটে গিয়ে আক্রমণ করছে। গত বুধবার বিকেলে শেয়ালের কামড়ে আহত চার কৃষককে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গতকাল আরও এক কৃষককে পানবরজে একা পেয়ে কামড় দিয়ে আহত করে।
জানা গেছে, ঝিনাইদহের মধুহাটি ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের গড়ের মাঠে চার কৃষক তাদের নিজ নিজ জমিতে কাজ করছিলেন। এ সময় একটি শেয়াল এসে প্রথমে দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে পিন্টু হোসেনকে (২৫) কামড়ে দেয়। তার চিৎকারে মাঠের অন্য কৃষকরা এগিয়ে আসেন। এ সময় শেয়ালটি আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে এগিয়ে আসা কৃষক আব্দুল হাকিম (৩৫), মফিজুর রহমান (৪৫) ও মজনুর রহমানকে (৪০) কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। আহতদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার কবিরখালী মসজিদপাড়ার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে কুরবান আলীকে একটি শেয়ালে কামড় দেয়। গতকাল সন্ধ্যার দিকে পানবরজে কাজ করার সময় একটি শেয়াল এসে কুরবানের একটি পায়ে কামড় দিয়ে ধরে রাখে। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে শেয়ালটিকে পিটিয়ে হত্যা করে। কুরবানকেও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার কানাই লাল জানান- শেয়াল, কুকুর, বিড়াল এগুলো মূলত প্রায় একই গোত্রের প্রাণী। অনেক সময় এ প্রাণীগুলো জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়। এ সময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে কামড়াতে থাকে। তবে এ ধরনের ঘটনা যদি ঘটে তাহলে অবশ্যই তাদেরকে চিকিৎসা নিতে হবে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম জানান, কখনো যদি ক্ষিপ্ত শেয়াল, কুকুর, বিড়ালে কামড়ায় আবশ্যই তাকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। তবে কামড়ানোর পরপরই সাবান দিয়ে ক্ষত স্থান ধুয়ে ফেলতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তি সরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করলে ফ্রি চিকিৎসা নিতে পারবেন।