স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোলদাড়ি কেরুজ কৃষি খামারের ১৩১ একর জমি গ্রামবাসীর পক্ষে রায় হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গার যুগ্ম জেলা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্দুর রহিমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, ১৯৬১ সালে ৯ অক্টোবর দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি আলমডাঙ্গার হোসেনপুর গ্রামের ৬ জন ব্যক্তির সাথে জমি বিক্রির চুক্তিনামা করে। এরপর ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে পরবর্তীতে বিষয়টি বেশিদূর গড়ায়নি। পরবর্তীতে ছয়জনের একজনের ওয়ারিশ কফিলুদ্দিনসহ ১১৪ জন ৩১ একর জমি দাবি করে চুয়াডাঙ্গার যুগ্ম জজ আদালতে ১৯৯৭ সালে মামলা দায়ের করেন। একইভাবে ছয়জনের আরেকজন আলমডাঙ্গার বলেশ্বরপুর গ্রামের মৃত ইলিয়াস হোসেনের মেয়ে কণিকা খাতুনসহ ১৭ জন বাদী হয়ে ১শ একর জমি দাবি করে পৃথক আরেকটি মামলা করেন। দুটি মামলাই যুগ্ম জেলা জজ আদালতে চলতে থাকে।
কেরুজ সহকারী ব্যবস্থাপক (ভূমি) নজরুল ইসলাম জানান, রায়ের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহ আলম বলেন, ঘোলদাড়ি কেরুজ কৃষি খামারে ৪১২ একর জমি রয়েছে। ওই জমির মধ্যে কেরু কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ ছয় ব্যক্তির মধ্যে দু জনের ওয়ারিশ মামলা দুটি করেন। বিবাদী পক্ষের আইনজীবী সোহরাব হোসেন বলেন, রায় ঘোষণার পরপরই মামলাটি আপিল করার জন্য দরখাস্ত জমা দিয়েছি। কপি হাতে পেলে আপিল করা হবে।