দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার জুড়ানপুর সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ড সদস্য নাজমিন আক্তারের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মাতৃত্বকালীনভাতা উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টির সত্যতা খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মহল। গতপরশু মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ওয়ার্ড সদস্য নাজমিন আক্তার দামুড়হুদা সোনালী ব্যাংকের নিচে ব্যাংক থেকে ভাতা উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে জোর করে উৎকোচের টাকা আদায় করেন।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলায় চলতি বছরে প্রতিটি ইউনিয়নে ৫১ জন করে মোট ৩৫৭ জনকে মাতৃত্বকালীনভাতা প্রদান করা হয়। দামুড়হুদা উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিস থেকে চেকের মাধ্যমে ভাতাগ্রহণকারীরা দামুড়হুদা সোনালী ব্যাংক থেকে গত সোম ও মঙ্গলবার ওই টাকা উত্তোলন করেন। গত মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে দামুড়হুদা সোনালী ব্যাংকের নিচে হাজির হন জুড়ানপুর সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ড সদস্য নাজমিন আক্তার। তিনি তার ওয়ার্ডে মাতৃত্বকালীনভাতা গ্রহণকারীদের কাছ থেকে জনসম্মুখেই ১শ টাকা করে উৎকোচ নেয়া শুরু করেন। ভাতা উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে অনেকটা জোরজবরদস্তি করে উৎকোচ নেয়ার একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, টাকা শুধু আমি একা নিচ্ছি না। অনেক মেম্বারই নিচ্ছেন। এছাড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসের অফিস সহকারী ওই আপাও জনপ্রতি ১শ টাকা করে নিয়েছেন। তদন্ত করলে অবশ্যই এর সত্যতা মেলবে বলেও তিনি জানান। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, ওই মহিলা মেম্বারসহ আরো দু মহিলা মেম্বার ব্যাংকের নিচে রাস্তার ওপর দাড়িয়ে টাকা আদায় করছিলেন। ওই দুজনের মধ্যে একজনের নাম কোহিনুর বেগম। তিনি নবগঠিত নাটুদাহ ইউপির সদস্য বলে জানা গেছে।
এদিকে জনসেবার নাম করে নির্বাচিত হয়ে প্রকাশ্যে উৎকোচ নেয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার ভুক্তভোগী মহল।