দামুড়হুদা প্রতিনিধি: সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দামুড়হুদায় পড়ে পাওয়া টাকা প্রকৃত মালিকের কাছে ফেরত দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দামুড়হুদা সদর ইউপির সাবেক মেম্বার শফিউল আলম সন্টু এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে পড়ে পাওয়া টাকাগুলো ফেরত দেন। ওই ব্যাগে ১০ হাজার ৬শ টাকা ছিলো বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গতপরশু মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের বদনপুর গ্রামের নূহুর ছেলে করিমনচালক খোকন তার করিমনে টাকাভর্তি ব্যাগ পেয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই টাকার কথা জানাজানি হলে এলাকাবাসীর চাপে করিমনচালক খোকন ওই টাকা দামুড়হুদা সদর ইউপির সাবেক মেম্বার শফিউল আলম সন্টুর কাছে জমা দিতে বাধ্য হয়। ইউপি সদস্য সন্টুর অনুরোধে এ সংক্রান্তে গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গায় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি পড়ে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডের করিমন স্ট্রাটার ইউসুফ আলী ওই টাকার মালিককে ফোন করে জানান। এ বিষয়ে টাকার মালিক দর্শনা পাঠানপাড়ার দোস্ত মোহাম্মদের ছেলে বিল্লাল হোসেন বলেন, মেহেরপুর কলেজমোড়ে আমার বড় ভাই হাফিজের চায়ের দোকান আছে। তিনি বেচাকেনার টাকা অধিকাংশ সময় বিকাশ করে বাড়িতে পাঠান। কিন্তু ওই টাকাগুলো খুচরা টাকা হওয়ায় বিকাশে নেয়নি বিধায় আমাকে আনতে বলে। আমি আমার ছোট ভাই সাহাদত (১৩) ও খালাতো ভাই শাওনকে (১২) সাথে নিয়ে মেহেরপুরে যায়। গতপরশু সকালে ওই টাকাগুলো একটি ব্যাগে ভরে মেহেরপুর থেকে চুয়াডাঙ্গা আসি। চুয়াডাঙ্গা থেকে টেম্পু করে দামুড়হুদার ফকিরপাড়া পর্যন্ত আসি। তারপর ওই করিমনে উঠি। দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডে নেমে করিমন পাল্টে অন্য করিমনে নিজ বাড়ি দর্শনার উদ্দেশে রওনা হওয়ার পর দামুড়হুদা কলেজ পর্যন্ত যাওয়ার পরপরই ওই টাকার ব্যাগের কথা মনে হয়। আমরা বাসস্ট্যান্ডে ফিরে আসি এবং বিষয়টি করিমন স্ট্যাটারকে জানায়। তিনিসহ বেশ কয়েকজন করিমনচালক অনকে খোঁজাখুঁজিও করেন। কিন্তু টাকার কোনো হদিস মেলেনি। ধরেই নিয়েছিলাম ওই টাকা আর পাওয়া যাবে না।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সন্টু জানান, টাকার মালিক এসে টাকার পরিমাণসহ বিস্তারিত বিবরণ দেয়ার পর পড়ে পাওয়া টাকার সাথে মিলে যাওয়ায় এলাকাবাসীর সামনে তাকে টাকা বুঝ করে দেয়া হয়েছে। এদিকে গতপরশু পড়ে পাওয়া টাকার পরিমাণ ১০ লাখ বলে এলাকায় ব্যাপক প্রচার হয়েছিলো।