২৮ বছর পর কোপার ফাইনালে চিলি

মাথাভাঙ্গা মনিটর: এ মরসুমটা একেবারেই ভালো যায়নি এদুয়ার্দো ভার্গাসের। ইংলিশ ক্লাব কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের হয়ে এবারের মরসুম হয়তো ভুলেই যেতে চাচ্ছিলেন এ চিলিয়ান ফুটবলার। কিন্তু ঘরের মাঠে কোপা আমেরিকা প্রতিযোগিতা ভার্গাসকে রীতিমতো পুনর্জন্মের স্বাদ দিলো। গত সোমবার তার দু গোলেই যে ২৮ বছর পর কোপার ফাইনালে নিজেদের নাম লিখিয়েছে চিলি। দশজনে পরিণত হওয়া প্রতিপক্ষ পেরু প্রতিরোধ গড়ে ছিলো। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেনি। এ ভার্গাসের নৈপুণ্যের কাছেই নতিস্বীকার করতে হল তাদের।

খেলার ২০ মিনিটের মাথায় পেরু দশজনের দলে পরিণত হওয়ায় ম্যাচের আকর্ষণ নিয়ে শঙ্কা ছিলো। কিন্তু পেরু নিজেদের গুছিয়ে সেই শঙ্কা উড়িয়ে খেলায় এনে দেয় প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার ছোঁয়া। কিন্তু সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা দর্শকদের আনন্দ দিলেও পেরুকে জিততে সহায়তা করেনি। ভার্গাসের যে গোলটি চিলিকে প্রথমে এগিয়ে দিয়েছিলো, সেটা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন আছে। আছে বিতর্ক। খেলার ৪২ মিনিটের মাথায় পোস্টের খুব কাছ থেকে তিনি যে গোলটি করেন, তা লাইনসম্যানের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। অথচ টিভি রিপ্লে বলছিলো, ভার্গাস পুরোপুরি অফসাইডে দাঁড়িয়েই গোলটি করেন। এর আগে অবশ্য আলেক্সিজ সানচেজের ক্রস পেরুর পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়েছিলো। এর আগে, খেলার ২০ মিনিটে চিলির চার্লস আরানগুইজকে বাজেভাবে ফাউল করে লালকার্ড দেখেন পেরুর কার্লোস জামব্রানো। কিন্তু এ লালকার্ডের পরেও পেরু প্রায় সমানতালেই লড়ে যায় স্বাগতিকদের সাথে। খেলার ৬০ মিনিটে স্বাগতিক দর্শকদের হতভম্ব করে দিয়ে খেলায় সমতায় ফেরে পেরু। গোলটি অবশ্য আসে চিলির গারি মেদেলের পা থেকে। আত্মঘাতী গোলে সমতা ফিরিয়ে চনমনে হয়ে ওঠার চেষ্টা করছিল পেরু। কিন্তু এর ঠিক চার মিনিট বাদে দুর্দান্ত এক গোলে চিলিকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন ওই ভার্গাস। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে করা ভার্গাসের এ জয়সূচক গোলটি এবারের কোপা আমেরিকা প্রতিযোগিতার অন্যতম সেরা গোল হিসেবে বিবেচিত হওয়ার যোগ্য। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অবশ্য ভার্গাসের একটি গোল বাতিল হয়ে যায়।

নিজেদের ঘর ঠিকঠাক সামলেই ঘরের দর্শকদের আনন্দে ভাসিয়ে চিলি ঠিকই নিশ্চিত করে ফেলে ফাইনাল।
ফাইনালে চিলি খেলবে ৯৯ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটাতে। প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ের মধ্যকার বিজয়ী দল।