কোকেন ভারতে পাচারের জন্য বাংলাদেশের রুট ব্যবহার

স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রাম বন্দরে বলিভিয়া থেকে আসা ভোজ্যতেলের কন্টেইনারে কোকেনের চালানটি ভারতে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু গোয়েন্দা নজরদারিতে তা ব্যর্থ হয়ে যায়। ওই ভোজ্যতেলে কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়ার পর আরো দুজনকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। তারা জানিয়েছে চালানটি ভারতে পাচারের জন্য বাংলাদেশের রুট ব্যবহার করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। ঢাকার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান এ তথ্য জানান। আটকরা হলেন; মোস্তফা কামাল ও তার ভাতিজা আতিকুর রহমান খান। মঈনুল খান বলেন, আতিকুর উত্তরায় মণ্ডল গ্রুপে চাকরি করেন। তাকে সেখান থেকেই সকাল ১০টার দিকে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গুলশান-১ এর মোড় থেকে ট্রাপে ফেলে মোস্তফাকে আটক করা হয়। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোস্তফার কাজিন মো. বকুল ইংল্যান্ডে থাকেন। বকুলই মোস্তফাকে বলে ওই কন্টেইনারটি ভারতে রি-এক্সপোর্ট করার জন্য। তখন মোস্তফা কন্টেইনারটি ভারতে রি-এক্সপোর্ট করার জন্য আতিকুরের কাছে যান। তবে রি-এক্সপোর্টে সহায়তার জন্য রাজু নামে একজন ভারতীয় নাগরিকের চট্টগ্রামে আসার কথা ছিল। কিন্তু যেদিন রাজু আসবে সেদিন আমরা অপারেশন চালানোয়, সে আর আসেনি। আটক দুজনই টাকার বিনিময়ে এ কাজ করতে চেয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে আরও অনেক তথ্য বের হয়ে আসবে।

তিনি আরও বলেন, বিসিএসআইআর ও বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে তরলের নমুনা পরীক্ষায় বলিভিয়া থেকে আসা একটি ভোজ্যতেলের কন্টেইনারে কোকেনের অস্তিত্ব থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায় নি যে কি পরিমাণ কোকেন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে কন্টেইনারে থাকা ৯৬ নম্বর ড্রামের ১৮৫ কেজি ভোজ্যতেলের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ তরল কোকেন। তবে কোকেনের প্রকৃত পরিমাণ বের করতে হলে ৫০ মিলিগ্রাম কোকেন প্রয়োজন। যার ঘনত্বের সাথে তুলনা করে ড্রামে তেলের কোকেনের পরিমাণ বের করা সম্ভব।