পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশে পুরোনো রেলপথে ট্রেন চালুর দাবি

স্টাফ রিপোর্টার: পাকিস্তান আমল পর্যন্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাথে বাংলাদেশের আটটি রেলপথ ছিলো। ভারত ভাগ হয়ে যাওয়া, পাকিস্তানের সাথে ভারতের যুদ্ধ ও বৈরিতার কারণে এসব রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই পথে ট্রেন চলাচলের দাবি ওঠে। এই দাবির প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে ঢাকা ও কোলকাতার মধ্যে প্রথম চালু হয় মৈত্রী ট্রেন। এখনো কোলকাতা থেকে গেদে ও দর্শনা সীমান্ত পথে সপ্তায় চার দিন চলছে এ যাত্রীবাহী ট্রেন। পরবর্তী সময়ে বনগাঁ বেনাপোল পথে চালু হয় পণ্যবাহী ট্রেন। দু দেশের মধ্যে এছাড়া আরেকটি পথে, রোহনপুর-সিংঘাবাদ রেলপথে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করে। বাকি সেই পাঁচটি রেলপথে এখনো চালু হয়নি পণ্যবাহী বা যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। এ রেলপথগুলোর মধ্যে প্রথমটি হলো, বিরল-রাধিকাপুর। আগে এ পথে পণ্যবাহী ট্রেন চলতো। ২০০৫ সালের পর থেকে এটা বন্ধ। শাহবাজপুর-মহিশাসন রেলপথে ১৯৯৬ সাল থেকে কোনো ট্রেন চলছে না। তৃতীয় পথটি হলো চিলাহাটি-হলদিবাড়ি। ১৯৬৫ সাল থেকে এ পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ। চতুর্থত বুড়িমারি-চ্যাংড়াবান্ধা রেলপথ। এ পথে দেশভাগের পর থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। পঞ্চম পথ হলো আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ। এ রেলপথেও দেশভাগের পর থেকে আর কোনো ট্রেন চলছে না। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে এই পাঁচটি রেলপথ আবার চালুর দাবি উঠেছে। বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করা এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণে ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কোচবিহারের সাবেক বিধায়ক সৌমেন্দ্র নাথ দাস এই পথে আবার ট্রেন চালুর দাবি জানিয়েছেন।