আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু হাসান ও ইন্সট্রেক্টর আবু তাহেরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণার্থীদের নিম্নমানের প্রশিক্ষণ সামগ্রী সরবরাহ ও ইন্সট্রেক্টরের বিরুদ্ধে একই সাথে একাধিক ব্যাচের প্রশিক্ষক হিসেবে অবৈধভাবে সকল ব্যাচ থেকে সম্মানি গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গায় দীর্ঘ ৩ মাস ধরে উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ চলছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু হাসানের তত্ত্বাবধানে চলছে একীভূত শিক্ষা ও অটিজম প্রশিক্ষণ। অন্যদিকে ইন্সট্রেক্টর আবু তাহেরের তত্ত্বাবধানে চলছে নিটবেজ ও বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকদের নিম্নমানের প্রশিক্ষণ সামগ্রী সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের নিম্নমানের সস্তা মূল্যের প্যাড-কলম ও ব্যাগ সরবরাহের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এছাড়া তড়িঘড়ি করে ইন্সট্রেক্টর একই সাথে ৩ ব্যাচ প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে সকল ব্যাচ থেকেই একই সাথে সম্মানি নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীরা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট উত্থাপিত অভিযোগগুলো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন।
এ সকল অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কে কী অভিযোগ করেছে তাতে আমার কি এসে যায়? রিসোর্স ইন্সট্রেক্টর আবু তাহেরের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। অভিযোগকারীরা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট উত্থাপিত অভিযোগগুলো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন।