দুঙ্গার এক সিদ্ধান্তেই কোপা আমেরিকা থেকে ব্রাজিলের বিদায়

মাথাভাঙ্গা মনিটর: শিষ্যদের রীতিমতো সমালোচনার চাবুক কষেছেন। কিন্তু ম্যাচ শেষে রবিনহো যে মন্তব্য করেছেন, তাতে ব্রাজিলের হারের দায় কোচ কার্লোস দুঙ্গার ওপরই বর্তাচ্ছে। দুঙ্গার একটি সিদ্ধান্ত ব্রাজিলের হারে রেখেছে বড় ভূমিকা। এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ১-১ ড্র। দুঙ্গা শিষ্যদের সমালোচনা করতেই পারেন। কিন্তু আগের ম্যাচে পেনাল্টি শ্যুট আউট নিয়ে আর্জেন্টিনাকে যতোটা প্রস্তুত মনে হয়েছিলো, এ ম্যাচ দেখে মনে হলো না ব্রাজিল ততোটা ভেবেছে। বা এ নিয়ে ভালো রণকৌশল সাজিয়েছে। এবারের কোপা আমেরিকায় কোয়ার্টার আর সেমিফাইনালে ৯০ মিনিট পর্যন্ত ড্র থাকলে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট ​না-খেলার নিয়মই করা হয়েছে। এর বদলে ৯০​ মিনিট শেষেই পেনাল্টি শ্যুট আউট। ফলে টাইব্রেকার নিয়ে দলগুলোকে বাড়তি প্রস্তুতি নিতেই হচ্ছে। দুঙ্গাও হয়তো পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন কে কে শট নেবে। কিন্তু সেই তালিকায় রবিনহোর নাম না দেখতে পেয়ে অনেকেই অবাক হয়েছেন। নেইমার ছিটকে যাওয়ার পর একাদশে আসা এই ৩১ বছর বয়সী অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ডই ব্রাজিলকে পথ দেখাচ্ছিলেন। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে তার কর্নার থেকে গোল করেছিলেন থিয়াগো সিলভা। প্যারাগুয়ের বিপক্ষেও ১৫ মিনিটে এগিয়ে দিয়েছিলেন রবিনহোই। পেনাল্টি যেখানে স্নায়ুর চাপ নেয়ার লড়াই, সেখানে রবিনহোর অভিজ্ঞতার দাম দেননি দুঙ্গা। রবিনহো নিজেও পেনাল্টি নেবেন বলেই জানতেন। কিন্তু ​একেবারে শেষ মুহূর্তে তাকে তালিকা থেকে বাদ দেন দুঙ্গা। রিবেইরো আর কস্তার মিস ব্রাজিলকে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দেয়। গতবারও পেনাল্টি শ্যুট আউটেই ব্রাজিলকে এ প্যারাগুয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়েছি​লো ব্রাজিলকে।
স্বাভাবিকভাবেই ব্রাজিল সমর্থকেরা ম্যাচ শেষে প্রশ্ন তোলেন, রবিনহো কেন শট নেননি। রবিনহো শট নিলে ম্যাচের ফল অন্য রকম হতেও পারতো। রবিনহোর অনুপস্থিতির রহস্য কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তাদের। সাংবাদিকেরাও প্রশ্নটা করেছিলেন। উত্তরে রবিনহো বলেছেন, আমি পেনাল্টি নিতেই চেয়েছিলাম। কিন্তু কোচ চাননি, আর কোচের সিদ্ধান্ত আমাকে সম্মান করতেই হবে। সাধা​রণত দলের পেনাল্টিগুলো আমি নিয়ে থাকি। তবে যা হয়ে গেছে, সেটা আমাদের মেনে নিয়ে আরও উন্নতি করতে হবে। এ পরাজয় একজনের পরাজয় নয়, পুরো দলের পরাজয়। গতবার এক ম্যাচ না জিতেও ফাইনালে উঠে গিয়েছিলো প্যারাগুয়ে। এবার আর্জেন্টিনাকে হারাতে পারলে টানা দ্বিতীয় ফাইনালে খেলবে তারা। যদিও রবিনহোর এ কথা থেকে আর্জেন্টিনা সমর্থকেরা আশাবাদী হতে পারে, কাউকে হেয় করতে চাই না। তবে বলতেই হচ্ছে, সেরা দলগুলোর মধ্যে প্যারাগুয়ে নেই।