মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের নীলমনিগঞ্জ পানহাট এবং আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ ও জেহালা পানহাটে রমরমা ২ টাকার নোটের ব্যবসা চলছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অন্য জেলা থেকে লাখ প্রতি ৫ হাজার টাকা কমে টাকা নিয়ে এসে কয়েকটি পানহাটে ব্যাপারীদের হাতে তুলে দিচ্ছে। পানচাষিদের পান বিক্রির টাকা পরিশোধ করছে ২ টাকার নোটে। চাষিরা টাকা নিতে না চাইলেও জোর করে ২ টাকার নোট দেয়া হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ২ টাকার নোট নিতে চাইছে না।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের নীলমণিগঞ্জ পানহাট এবং আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ ও জেহালা পানহাটে রমরমা ২ টাকার নোটের ব্যবসা চলছে। পানহাটগুলোতে আলমডাঙ্গার কান্তপুর গ্রামের ঝুড়ি বাবলু ও মিকাইল এ ব্যবসা করছে বলে সূত্র জানায়। এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানিয়েছে, ২ টাকার নোট ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লাখ প্রতি ৫ হাজার টাকা কমে টাকা কিনে নিয়ে আসছে। সেই টাকা পানব্যাপারীদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে। পানচাষিদের ২ টাকার নোটের বান্ডিল দিতে গেলে প্রতিদিনই বাগবিতণ্ডা বাধছে। অনেক পানচাষি মুন্সিগঞ্জ ও জেহালা পানহাট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে অন্য বাজারে পান বিক্রি করছে। এলাকাবাসী জানায়, মিকাইল ২ টাকার নোটের জোগান দেয়। ঝুড়ি বাবলু সেই টাকা কোনো লাভ ছাড়া কয়েকদিনের ধারে ব্যবসায়ীদের দিয়ে থাকে। অনেক ব্যবসায়ী নিজের মূলধন ছাড়া বাবলুর দেয়া টাকায় ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে কয়েকদিনের ব্যবধানে ব্যবসায়ীরা টাকা ফেরত দিচ্ছে। ফলে লাভবান হচ্ছে ২ টাকার নোট ব্যবসায়ী বাবলু ও পানব্যাপারী। পানচাষিরা তাদের পান বিক্রির টাকা বাজারের কাঁচা বাজার ও মুদিদোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দিতে গেলে টাকা নিচ্ছে না। পানব্যাপারীদের সাথে প্রতিদিন পানচাষিদের সাথে বাধছে বাগবিতণ্ডা। ২ টাকার নোট নিতে না চাইলে পান বিক্রির টাকা বাকি রাখছে ব্যবসায়ীরা। এলাকাবাসী আরো জানায়, মুন্সিগঞ্জ বাজারের এক ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী এ ব্যবসায় জড়িত। এলাকাবাসী প্রতিকার চেয়ে চুয়াডাঙ্গার নবাগত জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেছে।