আগামী নির্বাচনে খালেদার অংশগ্রহণের সুযোগ নেই

 

স্টাফ রিপোর্টার: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ নেই। গতকাল সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে চলা সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। কারণ, ২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে গণতান্ত্রিক শক্তির সাথে গণতান্ত্রিক শক্তির নির্বাচন। সেই নির্বাচনে গণতন্ত্রের অচল মাল সচল করার সুযোগ নেই। খালেদা জিয়ারও অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অগণতান্ত্রিক শক্তিকে সুযোগ দিলে গণতন্ত্রে দুর্যোগ নেমে আসে, গণতন্ত্রে ছোবল মারে। যেমনটি মারছে জামায়াত, যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিবাদীরা। তিনি বলেন, সাজানো বাগানে শূকর ছেড়ে দিলে সেই বাগান তছনছ করে দেয়। বর্তমানে গণতন্ত্রে কোনো ঘটতি নেই, আছে বিষফোঁড়া। গণতন্ত্রের বিষফোঁড়া জামায়াত-জঙ্গিরা। এসব বিষফোঁড়া ছোট-খাটো অপারেশনের মাধ্যমে বাদ দিতে হবে। এতে আমাদের একটু কষ্ট হবে। তবে আমরা এদের কোনো ভাবেই ছাড় দিতে পারি না। হাসানুল হক ইনু বলেন, বর্তমানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে, তাতে বাংলাদেশে পাকিস্তান মার্কা, সামরিক সরকার মার্কা, জামায়াত মার্কা রাজনীতি আর হবে না। সেই দিন শেষ। দেশকে পিছিয়ে দেয়ার রাজনীতি আর হবে না। শেখ হাসিনা দেশকে যে সমৃদ্ধির মহাসড়কে টেনে তুলেছেন সেই মহাসড়কে খালেদা জিয়ার জায়গা নেই। শেখ হাসিনার বিকল্প ‘আগুন-সন্ত্রাসী’ কখনই না। গণতন্ত্র উন্নয়ন সমৃদ্ধির রাজনীতি থেকে খালেদা নিজেই নিজেকে খরচের খাতায় নিয়ে গেছেন। খালেদাকে জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি না বুঝলেও দলের নেতা-কর্মীরা ও জনগণ বুঝে গেছে। এটাও বুঝে গেছে, আপনি যতই লম্ফঝম্প করেন না কেনো আগুনে মানুষ পোড়ানোর অপরাধে জনগণের আদালত থেকে রেহাই পাবেন না। আপনি যতই কৌশল বদলান না কেন, যতই মোদির সাথে করমর্দন করেন না কেন, আপনার রাজনীতির ইতিহাস লেখা হয়ে গেছে। আপনাকে রাজনীতির বাইরে থাকতে হবে এবং আদালতের বারান্দায় যেতে হবে। তিনি আরও বলেন, অনেকে ফ্যাশন করে বলেন, গণতন্ত্রে ঘাটতি আছে। গণতন্ত্র মাপবেন কি দিয়ে? বাক স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিয়ে? এখানেও গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই। বর্তমানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণমাধ্যমে স্বাধীনমত প্রকাশের স্বর্ণযুগ পালন করছি। খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে ইনু বলেন, শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদির সাথে যে চুক্তি এবং সমঝোতা স্বাক্ষর করেছেন তার কোন চুক্তি স্বাধীনতাবিরোধী, দেশবিরোধী, অর্থনীতি বিরোধী আপনি (খালেদা) বলুন। আপনি কাল যদি ক্ষমতায় আসেন তাহলে কোন চুক্তিটি বাতিল করবেন বলুন। আপনি একটিও বাতিল করতে পারবেন না। কারণ এসব চুক্তি দেশের জনগণের স্বার্থেই হয়েছে।