জীবননগর ব্যুরো: ব্যবসায়িক কাজে ঢাকা গিয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার জীবননগর বাজারের বিশিষ্ট ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী হাজি রমজান আলী হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তরুণ ব্যবসায়ী ফয়সাল ইকবালকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিআইডি ঢাকার একটি টিম জীবননগরে অভিযান চালিয়ে তাকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রেফতার করে। এ মামলায় পুলিশ ইতঃপূর্বে নিহত হাজি রমজানের ভাতিজা, এক বিউটিশিয়ান ও বাস সুপারভাইজারকে গ্রেফতার করে। তারা বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জীবননগর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজি ইলেক্ট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী হাজি রমজান আলী গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর সোনার তরী নৈশকোচযোগে ঢাকায় যান। পরের দিন সকালে ঢাকা আগারগাঁওয়ে অবস্থিত সিটি করপোরেশনের একটি ডাম্পিং স্টেশন এলাকা হতে গলায় মাপলার বেঁধে শ্বাসরোধ করা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে শেরেবাংলানগর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় হাজি রমজান আলীর স্ত্রী রাজিয়া আক্তার ঢাকা মিরপুর দারুসসালাম থানায় একটি জিডি করেন। পরে তা হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। এ মামলায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ নিহত হাজি রমজান আলীর ভাতিজা আল আমীন, কাজি টাউয়ারের বিউটি পার্লারের বিউটিশিয়ান পারভীন আক্তার ও বাস সুপারভাইজার মনোহরপুরের সুরুজকে গ্রেফতার করে। তারা সকলেই বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা সিআইডির একটি টিম জীবননগরে অভিযান চালিয়ে ফয়সাল ইকবালকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ফয়সাল আওয়ামী লীগ নেতা এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও হাট ইজারাদার ফরহাদ হোসেনের ছেলে। গ্রেফতারের পর পরই ফয়সালকে নিয়ে সিআইডির টিমটি ঢাকার পথে রওনা হয় বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।