নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ক্ষমতা না বাড়ানোর দাবি বার কাউন্সিলের

স্টাফ রিপোর্টার: ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন সংশোধন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সাজা দেয়ার ক্ষমতা না বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। দেশের আইনজীবীদের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বার কাউন্সিল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল বৃহস্পতিবার এ দাবি জানান সংস্থাটির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন। বার কাউন্সিল ভবনের মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বলা হয়, দোষ স্বীকার না করলেও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সাজা দেয়ার বিধান যুক্ত করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের আইন সংশোধন করা হলে তা হবে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থি।

খন্দকার মাহবুব আরও বলেন, ২০০৭ সালে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ আলাদা হয়ে যায়। এরপর থেকে নির্বাহী বিভাগ নানাভাবে বিচার বিভাগের ওপর প্রাধান্য বিস্তারের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের মাধ্যমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ক্ষমতা বাড়ানো হয়। ওই আইনে বলা হয়, যদি কোনো আসামি দোষ স্বীকার করে, তাহলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে সর্বোচ্চ দু বছর কারাদণ্ডসহ জরিমানা করতে পারবেন। এ আইন নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক করার মূলনীতির পরিপন্থি। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আরও বলেন, বর্তমান ‘জনসমর্থনহীন’ সরকার নির্বাহী বিভাগের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। এখন ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন সংশোধন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ক্ষমতা আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য আসামি দোষ স্বীকার না করলেও তাঁকে শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে দেয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভ্রাম্যমাণ আদালতের ক্ষমতা বাড়ানো যদি একান্ত প্রয়োজন হয়, তাহলে ওই দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের অধীনে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর দেয়া যেতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বার কাউন্সিলের নির্বাহী সদস্য এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, গোলাম মোস্তফা খান প্রমুখ।