আজও সারাদেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস

মধ্যরাতে চুয়াডাঙ্গার শহীদ হাসান চত্বরে বজ্রপাত
স্টাফ রিপোর্টার: আজ শুক্রবারও দেশের অধিকাংশ এলাকায় ভারীসহ মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহওয়া অধিদফতর এ পূর্বাভাস দিয়ে বলা হয়েছে মরসুমি বায়ুর প্রভাবে সপ্তাজুড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গাসহ সারাদেশে গতকালও কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি কখনো ভারী বৃষ্টি হয়েছে। গতকালও দেশের সর্বাধিক বৃষ্টিপাত কক্সবাজারে ১৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। চুয়াডাঙ্গায় গতকাল সারাদিন হালাক ও ভারী বৃষ্টি হলেও স্থানীয় আবহওয়া অধিদফতর অবশ্য মাত্র ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে রেকর্ড করেছে। চুয়াডাঙ্গায় গত মধ্যরাতে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। রাত ১২টা ৩৩ মিনিটের দিকে বিকট শব্দের সাথে সাথে বিদ্যুত চলে যায়। কেনো? শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র শহীদ হাসান চত্বরের নিকটস্থ শিমরান হোটেলের পাশের বৈদ্যুতিক পোলের নিকট বজ্রপাত হয়। পোলের তারে বৃষ্টির মধ্যে আগুনও দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর বিদ্যুত সরবরাহ পুনরায় চালু করা হলে সব কিছু স্বাভাবিক বলেই প্রতীয়মান হতে থাকে। তবে এ বজ্রপাতে হতাহত হয়নি।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৭৯ মিলিমিটার। এর মধ্যে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৬৭ মিলিমিটার। তিনি জানিয়েছেন, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, সিলেট ও রাজশাহী বিভাগের কোথাও কোথাও শুক্রবারেও ভারী বর্ষণ অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। ২৭ জুনের পর পর থেকে এর মাত্রা কিছুটা কমবে। চট্টগ্রাম বিভাগের ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কক্সবাজারে ১৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গতপরশু ও গতকাল মোট বৃষ্টি হয়েছে হয়েছে ৪৭৭ মিলিমিটার। চট্টগ্রামে বৃষ্টি হয়েছে ৪০ মিলিমিটার। ভোলায় হয়েছে ১১২ মিলিমিটার ও বরিশালে হয়েছে ১০২ মিলিমিটার।
বরিশাল আবহাওয়া কার্যালয়ের পর্যবেক্ষক শওকত দেওয়ান গাজী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গতরাত ১২ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এর পরিমাণ ছিলো ১৯৮ মিলিমিটার। রাত তিনটা থেকে অঝোর ধারায় বৃষ্টি শুরু হয়। বর্ষা মরসুমেই নয় গত ২০ বছরেও এতো বৃষ্টিপাত হয়নি।

Leave a comment