আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা বলিয়ারপুরের মহিলা মেম্বারের আত্মীয় মেয়ের মোবাইলে মিসকল দেয়া সন্দেহে দুজনকে কুপিয়ে জখম মামলার দু আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেম্বার পক্ষ একই গ্রামের দুজনকে কুপিয়ে জখম করে। পরে তারা আহত অবস্থায় থানায় এসে মামলা দায়ের করে। ওই মামলার আসামি হিসেবে দুজনকে গত পরশু রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এজাহার ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বলিয়ারপুর গ্রামের সামসুল মাস্টারের মেয়ে ডালিয়াকে অজ্ঞাত ব্যক্তি মোবাইলফোনে মিসকল দেয়। এ মিসকল দেয়ার ব্যাপারে তারা সন্দেহ করে একই গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মিন্টুকে (২০)। বিষয়টি সামসুল মাস্টার তার আত্মীয় একই গ্রামের মহিলা মেম্বার তানিয়া খাতুনকে জানায়। সন্দেহের বশবর্তী হয়ে ৭ জুন রোববার রাতে তানিয়া মেম্বারসহ নবির ছেলে কামরুল ও লিটন, সামসুল মাস্টারের ছেলে মিয়া, দিদারের ছেলে হিরোক, মসলেম উদ্দীনের ছেলে জিয়া ও আশাসহ বেশ কয়েকজন গোলাম মিন্টুর বাড়িতে গিয়ে চড়াও হয়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। গালিগালাজের প্রতিবাদ করায় তারা মিন্টুর বড় ভাই সুলতানের মাথায় ধারাল দা দিয়ে কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে মিন্টুকেও বেদম পেটায়। পরে সুলতান ও তার সহোদর মিন্টুকে গ্রামবাসী উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ৮ জুন রাতে সুলতান বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় ৫/৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার আসামি হিসেবে নবীর ছেলে লিটন ও দিদার আলীর ছেলে হিরোককে এসআই অচিন্ত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেন। গতকালই তাদের আদালতে প্রেরণ করেন। অপরদিকে এসআই আনিস আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মৃত খোদাবক্সের ছেলে শফিকে গ্রেফতার করেন। শফিকেও গতকালই আদালতে প্রেরণ করেন।