হয়রানির শিকার হচ্ছেন মেহেরপুরের বিআরটিএর গ্রাহকরা

 

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরে মোটরসাইকেল ও মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন ফিস, ড্রাইভিং লাইসেন্স ফিস, ফিটনেস সার্টিফিকেট ফিসসহ বিআরটিএর যাবতীয় ফিসের টাকা জমা দেয়া নিয়ে গ্রাহকেরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সেবা না পেয়ে দিনের পর দিন ফিরে যাচ্ছেন গ্রাহকেরা। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন ফিস, ড্রাইভিং লাইসেন্স ফিস ও বিআরটিএর অন্যান্য ফিসের টাকা জমা দেয়াকে কেন্দ্র করে গ্রাহকদের সাথে ব্যাংক কর্মকর্তার বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরে মেহেরপুর পুলিশ সুপার হামিদুল আলমের হস্তক্ষেপে গ্রাহকেরা সেবা পেয়েছেন এবং যে সব গ্রাহকেরা টাকা জমা দিতে পারেননি, তাদের টাকাও জমা নেয়া হয়েছে। এ সময় ভুক্তভোগীরা জানান, এসএমই ব্র্যাক ব্যাংকের মেহেরপুর শাখার কাস্টমার রিলেশন অফিসার অনুপমা লিসার অনিয়মের কারণে গ্রাহকেরা দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তারা আরো জানান, তার বাড়ি ঝিনাইদহে। সেখান থেকে বাসযোগে তিনি মেহেরপুর অফিসে আসা-যাওয়া করেন। যে কারণে অফিসে আসেন অনেক দেরিতে। আবার ফিরে যান সাড়ে ১২টার মধ্যে। এই অল্প সময়ের মধ্যে গ্রহকেরা সেবা না পেয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নিরাপত্তা কর্মী এবং জনবল সঙ্কটের কারণে গ্রাহকদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে জানান এসএমই ব্র্যাক ব্যাংকের মেহেরপুরের ইউনিট ইনচার্জ।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের হাফিজুল ইসলাম জানান, ২২ কিলোমিটার দূর থেকে তিনি মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেনের টাকা জমা দেয়ার জন্য আসেন। কিন্তু পরপর তিন দিন এসেও টাকা জমা না দিতে পেরে ঘুরে গেছেন। মেহেরপুর শহরের জামাল উদ্দিন জানান, বিআরটিএ থেকে রশিদ কেটে নিয়ে এসে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য টাকা জমা দিতে এসে পরপর তিন দিন ঘুরে গেছি। এক সপ্তাহ পর এসেও কম্পিউটার নষ্টের কারণে টাকা জমা দিতে পারিনি। দুপুর ১২টার পরে কোনো টাকা নেয়া হয় না বলেও জানান ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা। এভাবেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষেরা।

এসএমই ব্র্যাক ব্যাংকের মেহেরপুর শাখার কাস্টমার রিলেশন অফিসার অনুপমা লিসা জানান, জনবল সঙ্কটের কারণে গ্রাহকদের বলা সত্বেও লাইনের মাধ্যমে টাকা নেয়া সম্ভব হয় না। চারদিক থেকে গ্রাহকেরা ঘিরে রাখেন। যেখানে টাকা জমা নিতেও অনেক সময় সমস্যার শিকার হতে হয়। কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলে কুরিয়ারের মাধ্যমে বিআরটিএর ঢাকা অফিসে পাঠাতে হয়। সেখান থেকে কুরিয়ারের মাধ্যমে কম্পিউটার সেরে নিয়ে আসার পরে আবার গ্রাহকদের মাঝে সেবা দিতে হয়।

এসএমই ব্র্যাক ব্যাংকের মেহেরপুর শাখার ইউনিট ইনচার্জ হুমায়ন কবির জানান, জনবল সঙ্কটের কারণে গ্রাহকদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এখানে বিআরটিএর কোনো দক্ষ জনবল নেই। যে কারণে একজন লোক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। তিনি অসুস্থ থাকলে সমস্ত কাজ বন্ধ থাকে। ব্র্যাক ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মীসহ জনবল বাড়ানো হলে এ সমস্যার সমাধান হবে।