চুয়াডাঙ্গার অলমডাঙ্গা ও মেহেরপুরের গাংনীসহ ২৭ উপজেলায় সংরক্ষিত মহিলা পদে সমান ভোট পড়ায় কেউ জয়ী হননি

 

স্টাফ রিপোর্টার: সারাদেশের ৪৭০ উপজেলার মধ্যে ২১ জেলার ২৭টি উপজেলায় সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী কোনো প্রার্থীই জয়ী হতে পারেননি। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সব প্রার্থীই সমান সংখ্যক ভোট পেয়েছেন। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী কাউকে বিজয়ী ঘোষণা করতে পারেননি রিটার্নিং অফিসাররা। নির্বাচন হওয়া উপজেলা থেকে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) রিটার্নিং অফিসারদের পাঠানো তালিকা পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ সব উপজেলায় কবে নাগাদ পুনঃভোট নেয়া হবে কমিশনের মতামতের জন্য তালিকা উত্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখা।

গত ১৩ মে প্রথমবারের মতো ৪৭৮ উপজেলায় সংরক্ষিত মহিলাদের জন্য সদস্য পদপূরণের লক্ষ্যে তফশিল ঘোষণা করে ইসি। সীমানা ত্রুটির কারণে ৮টি উপজেলায় শুরুতে নির্বাচন স্থগিত হয়। আর ভোটগ্রহণের দিনে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে হবিগঞ্জ উপজেলায় একটি নির্বাচন স্থগিত হয়।

নির্বাচন হওয়া ৪৬৯টি উপজেলার মধ্যে ২৭টিতে নির্বাচনী এলাকায় সংরক্ষিত মহিলাদের মধ্যে প্রতিদ্বনন্দ্বিতাকারী প্রাথীরা সমভোট পেয়েছেন। এ সব উপজেলাতে পুনঃনির্বাচন করতে হবে কমিশনের। বর্তমানে তালিকা প্রস্তুতির কাজ চলছে। সমান ভোটপড়া উপজেলাগুলো হচ্ছে- সাতক্ষীরার তালা উপজেলা, টাঙ্গাইলের কালিহাতি, দিনাজপুরের হাকিমপুর ও খানসামা, কিশোরগঞ্জের ইটনা, খাগড়াছড়ির দিঘিনালা, রংপুর সদর উপজেলা ও গঙ্গাচড়া, কক্সবাজারের রামু, কুমিল্লার বরুড়া ও দাউদকান্দি, মেহেরপুরের গাংনী, বগুড়ার শিবগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা, নওগাঁর মহাদেবপুর, সাপাহার, সিলেটের জৈন্তাপুর, পটুয়াখালীর বাউফল, নেত্রকোনার আঠপাড়া, নোয়াখালীর সুবর্ণচর, ফরিদপুরের আলমডাঙ্গা, হবিগঞ্জের লাখাই, নরসিংদীর রায়পুরা, মনোহরদী ও বেলাবো, রাজশাহীর পুঠিয়া এবং বাগেরহাটের চিতলমারী।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, সাবেক ড. শামসুল হুদা কমিশনের অধীনেই অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। কিন্তু ওই কমিশন আইনি বাধ্যবাধকতা থাকার পরও উপজেলায় সংরক্ষিত মহিলা আসন পূরণে কোনো উদ্যোগ নেননি। ফলে উপজেলা পরিষদে মহিলা সদস্য পদে নির্বাচন না হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ পরিষদ গঠন করা সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন কমিশন গঠিত হয়। এ কমিশনের অধীনে ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর পরে উপজেলা পরিষদে সংরক্ষিত মহিলা আসন পূরণে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে প্রস্তাব দেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক। প্রায় দেড়বছর পরে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।