এমদাদুল ও জিকুসহ কয়েকজন প্রবেশের পর মেনগেটে তালা : পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

1441,0,0,0,328,256,343,2,2,206,49,0,0,100

চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুর জনকল্যাণ সংস্থার কার্যালয়ে ফের উত্তেজনা : পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নেয় নিয়ন্ত্রণে

 

স্টাফ রিপোর্টার: জনকল্যাণ সংস্থা জকস’র ভালাইপুরস্থ প্রধান কার্যালয়ে কয়েকজন ঢুকে হাজিরা খাতাসহ রেজুলেশন বহি দাবি করলে উত্তেজনা দানা বাধে। এক পর্যায়ে তালা মেরে কয়েকজনকে আটকে পুলিশে খবর দেয়া হয়। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

1441,0,0,0,338,256,333,2,2,173,54,1,0,100
1441,0,0,0,338,256,333,2,2,173,54,1,0,100

জনকল্যাণ সংস্থার সভাপতি ওয়ালিউর রহমান মালিক বলেছেন, পূর্বে বহিষ্কৃত কালু, কমল ও আহসানুল কবির জিকু কয়েকজনকে সাথে নিয়ে প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশ করে দখলের পাঁয়তারা করলে সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের আটকে তালা মেরে পুলিশে খবর দেয়। পক্ষান্তরে এমদাদুল হক সহকারী পরিচালক (অর্থ) বলে দাবি করে বলেছেন, সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনের জন্য যাওয়ার পর হাজিরাখাতা চাওয়া মাত্রই আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম ও হাফিজুর রহমান অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। পরে মেনগেটে তালা মেরে পুলিশে খবর দেন।

‌জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার কয়রাডাঙ্গায় কেডিসি তথা কয়রাডাঙ্গা ক্লাব নামে গড়ে ওঠা বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংস্থাটির নাম পরিবর্তন করে জনকল্যাণ সংস্থা জকস করা হয়। এক সময় চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলাতদিয়াড়ে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় স্থাপন করা হয়। কয়েক বছর আগে এ কার্যালয়েই সহকারী পরিচালক (অর্থ) এমদাদুল হক কালুসহ সংস্থার কিছু শাখা ব্যবস্থাপকের সাথে নির্বাহী পরিচালকের মতবিরোধ দেখা দেয়। হঠকারিতাও পরিলক্ষিত হয়। এমদাদুল হক কালুসহ কয়েকজনকে সংস্থা থেকে বহিষ্কার করা হয়। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। উভয়পক্ষই আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। সংস্থার প্রধান কার্যালয়টি ভালাইপুর মোড়ে স্থানান্তর করা হয়। এরই মাঝে গতকাল শনিবার সকালে ভালাইপুর মোড়ে সংস্থার কার্যালয়ে উত্তেজনা দানা বাধে।

সংস্থার সভাপতি জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় প্রধান কার্যালয়ে পূর্বে বহিষ্কৃত কর্মী ও কর্মকর্তা আহসানুল কবির জিকুর নেতৃত্বে কয়েকজন অবৈধভাবে অফিস দখলের পাঁয়তারা করে। ২০১২ সালের জুন মাসে কালু, কমল ও আহসানুল কবির জিকু কিছু কর্মীকে ভুল বুঝিয়ে অফিস দখলের নামে ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এমদাদুল হক কালু, কমল কুমার সেন, আহসানুল কবির জিকু, নজরুল ইসলাম, মাহবুবুল অলম, টিটু, মাসুদা পারভীন ও শামুসুর রহমান শামুকে সংস্থা থেকে বহিষ্কার করা হয়। আত্মসাৎকৃত অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে আদালতে মামলা করা হয়েছে। যা বর্তমানে বিচারাধীন। এরই এক পর্যায়ে গতকাল বহিষ্কৃতরা বহিরাগত কয়েকজনকে সাথে নিয়ে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক নূরুল ইসলাম ও নির্বাহী প্রধান ওয়ালিউর রহমান টুল্লুকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। সংস্থার কর্মচারীদের হাজিরাখাতা নিয়ে নেন। রেজুলেশন বহি দাবি করেন। তখনই তাদের ঘরে আটকে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পক্ষান্তরে এমদাদুল হক লিখিতভাবে বলেছেন, আমি সংস্থার সহকারী পরিচালক (অর্থ)। আমিসহ কয়েকজন কার্যালয়ে প্রতিনিয়ত কাজের উদ্দেশে যাই। আমার কর্মস্থলে হাজিরাখাতা চাওয়া মাত্র দু শাখা ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম ও হাফিজুর রহমান অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। হাজিরাখাতা দিতে অস্বীকার করেন। মেনগেটে তালা মারেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষের নিকট থেকে বিস্তারিত শোনার পর আমাদের বের করে অফিস বন্ধ করে দেয়।

ঘটনাস্থল থেকে ফেরার পর চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই শরীফ বলেছেন, খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করি। অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে তাৎক্ষণিক কার্যালয়টি বন্ধ করতে বলা হয়। শুনেছি উভয়পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।