হাইকোর্টের রায়ে চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন ২০১৫-২০১৭ স্থগিত বিজ্ঞপ্তি

 

স্টাফ রিপোর্টার: সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এক আদেশে বলে চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন ২০১৫-২০১৭ স্থগিত করা হলো। চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের সহসভাপতি মো. মঞ্জুরুল আলম মালিক লার্জ ও পরিচালক একেএম সালাউদ্দিন মিঠু এফবিসিসিআই’র আর্বিটেশন ট্রাইবুনালের রায়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় হাইকোর্ট বিভাগ গত ২৬ মে ২০১৫ তারিখে এফবিসিসিআই’র আর্বিটেশনের রায় বাতিল করে চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের নির্বাচন ৬ মাসের জন্য স্থগিত রাখার বিষয়ে একটি রুল জারি করেন।

চেম্বার সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন ২০১৫-২০১৭ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গত ২০১৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী চলতি বছরের ২০ মার্চ নির্বাচনের দিন ধার্য ছিলো। কিন্তু হাবিবুর রহমান গং এফবিসিসিআইয়ে চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আর্বিটেশন ট্রাইব্যুনাল গত ৫ মে রায় প্রদান করেন। রায়ে উল্লেখ ছিলো- (১) মো. ইয়াকুব হোসেন মালিক, (২) শাহারিন হক মালিক, (৩) মঞ্জুরুল আলম মালিক লার্জ, (৪) সালাউদ্দিন মো. মর্তুজা, (৫) নীল রতন সাহা, (৬) একেএম সালাউদ্দিন মিঠু, (৭) আরিফ হোসেন জোয়ার্দ্দার সোনা, (৮) তাজুল ইসলাম, (৯) সেলিম আহমেদ, (১০) সামসুদ্দোহা মল্লিক হাসু, (১১) নাসির আহাদ জোয়ার্দ্দার ও (১২) জাহাঙ্গীর হোসেন জোয়ার্দ্দার বাদশা এক নাগাড়ে দু মেয়াদ পূর্ণ করেছেন তাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। রায়ে আরো উল্লেখ ছিলো নির্বাচন তফশিলে ত্রুটি থাকায় ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচন স্থগিত করতে হবে, বিদ্যমান ভোটার তালিকা বহাল রেখে পুনঃতফশিলের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশক্রমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইতোমধ্যে গত ১৯ মার্চ স্বাস্থ্যগত কারণে চুয়াডাঙ্গা চেম্বারে নিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করলে চেম্বারের নির্বাচন নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়।

অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের সহসভাপতি মো. মঞ্জুরুল আলম মালিক লার্জ ও পরিচালক একেএম সালাউদ্দিন মিঠু এফবিসিসিআইয়ের আর্বিটেশন ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় হাইকোর্ট বিভাগ গত ২৬ মে ২০১৫ ও ৫ মে ২০১৫ তারিখের এফবিসিসিআই আরবিট্রেশনের রায়টি সম্পূর্ণ বাতিল পূর্বক চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের নির্বাচন ৬ মাসের জন্য স্থগিত রাখার বিষয়ে একটি রুল জারি করেন। অতএব উপরোক্ত ১২ জনের পরবর্তী নির্বাচনে অংশগ্রহণে আর কোনো বাধা থাকলো না।