স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার বলেশ্বরপুর নব্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং আইলহাস ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দীনকে ‘সক্ষম’ শনাক্ত করে সনদ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল বোর্ড। ফলে মিনহাজ উদ্দীনকে আর বিলম্ব না করে দুটি পদের যেকোনো একটি বেছে নিতে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
মিনহাজ উদ্দীন বলেশ্বরপুর রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯৮৫ সালের ১ আগস্ট হতে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে রেজিস্টার্ড বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণ করা হয়। এর মধ্যে স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে মিনহাজ উদ্দীন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। রিটার্নিং অফিসার শিক্ষকতা করায় মিনহাজের মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে মিনহাজ উদ্দীন উচ্চ আদালতে আবেদন করলে মিনহাজ উদ্দীন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পান। এরপর ২০১৩ সালের ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মিনহাজ জয়লাভ করেন এবং ৪ জুন চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিয়ে পরিষদের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দুটি দপ্তরের প্রধানের দায়িত্ব পাবার পর যেকোনো একটি ছেড়ে দেয়ার সরকারি বিধান থাকলেও মিনহাজ উদ্দীন তা করেননি। উপরন্তু কীভাবে সময়ক্ষেপণ করা যায় সেপথে হেঁটে চলেছেন। অবশেষে মিনহাজ উদ্দীন আবেদন করেন ২০১৩ সালের ১ জুন থেকে অক্ষমতাজনিত কারণে চাকরি হতে অবসর গ্রহণের। আলমডাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু হাসান বিষয়টি সিদ্ধান্তের জন্য ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠান। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমেন্দ্রনাথ পোদ্দার বিষয়টি জানতে পেরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আবেদনটি পাঠিয়ে দেন। তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সভাপতি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল ইসলাম। ওই মেডিকেল বোর্ড গত ১৫ এপ্রিল মিনহাজ উদ্দীনকে অক্ষমের পরিবর্তে সক্ষম বলে মতামত দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমেন্দ্র নাথ পোদ্দার জানান, মিনহাজ উদ্দীন বর্তমানে জনপ্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন। একাধারে জনপ্রতিনিধি ও অন্যদিকে শিক্ষক, যা বিধিবহির্ভূত। তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দীন জানান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ বিষয়ে কোনো চিঠি তাকে দেননি। তবে তিনি প্রধান শিক্ষক পদটি ছেড়ে দেবেন বলে এ প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেছেন।