জামায়তের ঢিলেঢালা হরতাল প্রভাব পড়েনি

স্টাফ রিপোর্টার: যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার প্রতিবাদে এবং আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে জামায়াতের ডাকা হরতাল চলাকালে গতকাল বুধবার রাজধানীসহ জীবনযাত্রা ছিলো স্বাভাবিক। দেশের কোথাও হরতালের তেমন প্রভাব পড়েনি।

রাজধানীতে হরতালের সমর্থনে কয়েকটি মিছিল বের হলেও কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নগরীতে গণপরিবহন ও প্রাইভেট গাড়ি চলাচল ছিলো স্বাভাবিক। রাজধানী থেকে দূরপাল্লার রুটেও পরিবহন চলাচল করেছে, দূরপাল্লা থেকেও পরিবহন রাজধানীতে প্রবেশ করেছে। ঢাকা নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যানজট ছিলো। ব্যাংকে লেনদেন হয়েছে। সচিবালয়সহ সরকারি অফিস ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং গার্মেন্টস কারখানা খোলা ছিলো। এদিকে হরতালবিরোধী মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে রাজপথে সরব ছিলেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। তবে কোথাও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। অন্যদিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে হরতালের বিরুদ্ধে মিছিল ও সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো। পৃথকভাবে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, ওলামা লীগ ও শ্রমিক লীগ এ মিছিল ও সমাবেশ করে। এছাড়া রাজধানীর শতাধিক স্থানে হরতালবিরোধী মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতেও হরতালের প্রভাব পড়েনি। দেশবাসীর জীবনযাত্রা ছিলো স্বাভাবিক।

চট্টগ্রাম অফিস জানায়, হরতালে চট্টগ্রামের জনজীবন অনেকটাই স্বাভাবিক ছিলো। নগরীর কোথাও মিছিল, সমাবেশ কিংবা পিকেটিং হয়নি।

খুলনা অফিস জানায়, হরতাল পালিত হয়নি। নগরীতে কোনো মিছিল-পিকেটিং দেখা যায়নি, ঘটেনি কোনো অপ্রীতিকর ঘটনাও। পুলিশ জামায়াত-শিবিরের ২৩ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।

রাজশাহী অফিস জানায়, হরতালের কোনো প্রভাব পড়েনি। রাজশাহীর সার্বিক কর্মকাণ্ড ছিলো স্বাভাবিক। কোনো মিছিলও হয়নি। কোথাও কোনো কাজে বাধা আসেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।