আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার আসমানখালী বাজারের কম্পিটারের দোকান মালিক সাদ্দাম আলী ও ড্রাইভার মনিরুলের বিরুদ্ধে পর্নোভিডিও’র নায়িকার মাথা কেটে এলাকার এক যুবতীর মাথা সংযোজন করে ওই যুবতীর নাম-ঠিকানা লিখে বিভিন্ন যুবকের মোবাইলে লোড দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত দুজনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী নান্দবার গ্রামে। এ ব্যাপারে থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন যুবতীর পিতা।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, নান্দবার গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে সাদ্দাম হোসেন আসমানখালী বাজারের একটি কম্পিটারের দোকান মালিক। সে একতরফাভাবে আসমানখালীর এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়েকে পছন্দ করতো। সম্প্রতি ওই যুবতীর অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেলে সাদ্দাম হোসেন জঘন্য উপায়ে প্রতিশোধ গ্রহণের পথ বেছে নেয়। সে পর্নো নায়িকার মাথা কেটে পছন্দের যুবতীর মাথা সেখানে সংযোজন করে। এরপর ভিডিও’র নিচে যুবতীর নাম ও ঠিকানা লিখে সেই ভিডিও এলাকায় ছড়িয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকার উঠতি বয়সী যুবকদের মোবাইলফোনের মেমোরি কার্ডে সে ভিডিও লোড করে দিচ্ছে। সাদ্দামের সাথে এ জঘন্য অপকর্মে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মাইক্রোবাস চালক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এমনকি ওই যুবতীর আত্মীয়ের মোবাইলেও কৌশলে সে পর্ণ ভিডিও ঢুকিয়ে দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে। যাতে যুবতীর বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। এমন হীন মানসিকতায় সাদ্দাম এ অপকর্মে মেতে উঠেছে বলে অনেকের অভিযোগ। এ ব্যাপারে যুবতীর পিতা বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে পুলিশসূত্রে জানা গেছে।