ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের তৃতীয় স্তম্ভ হচ্ছে রোজা। প্রতি বছর রমজান মাস মুসলিম উম্মাহর কাছে রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে হাজির হয়। হাদিসের কিতাবে বলা হয়েছে, যখন রমজানের আগমন হতো, তখন হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) অতিশয় আনন্দিত হতেন। তিনি সাহাবাদের উদ্দেশ্য করে বলতেন, ‘তোমাদের কাছে বরকতময় মাস রমজান আগমন করেছে।’ হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজনের জন্য অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। আজ বুধবার বাংলাদেশে চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসছে।
রজবের চাঁদ দেখে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া করতেন এই বলে, ‘হে আল্লাহ তুমি আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসে বরকত দান কর এবং রমজান মাস পর্যন্ত আমাদের পৌঁছে দাও’ (মুসনাদে আহমাদ)। নবী করিম (সা.) রমজান মাস পর্যন্ত হায়াত প্রলম্বিত করার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেন যেন রমজানের রহমত, বরকত, মাগফেরাত অর্জন করা সম্ভব হয়। মানবজীবনের সব কালিমা দূর করার জন্য শাবান মাসের পরই বরকতময়-মহিমান্বিত রমজান মাস আসে।
অন্যদিকে মসজিদের ইমাম-খতিবদের দায়িত্ব হলো মসজিদে প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজের পর রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে মুসল্লিদের সামনে আলোচনা করা। তাতে সবাই রমজানের তাৎপর্য ও মাহাত্ম্য অনুধাবন করতে পারবে। এর ফলে রোজার পবিত্রতা রক্ষার ব্যাপারে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তা ছাড়া রোজদারদের প্রতি সম্মান জানানোও সকলের দায়িত্ব। সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখারও আহ্বান জানানো হয়েছে। পবিত্র রমজান মাস মানে সিয়াম সাধনার মাস। রসনা বিলাস পরিহার রোজারই অংশ।