৮ জন পালালেও দুজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ ছয়ঘরিয়ার কলেজছাত্র নাজমুল ও যাদবপুরের লিটুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভুলটিয়া টেলিপাড়া থেকে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। এর আগে এলাকার জনগণ তাদেরকে গণধোলাই দেয়। ভুলটিয়ার আব্দুর রশিদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরোজগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, সরোজগঞ্জ ছঁয়ঘরিয়া গ্রামের আকু শেখের ছেলে বদরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র নাজমুল (১৮), যাদবপুরের আলতাব হোসেনের ছেলে একই কলেজের ছাত্র লিটু (১৮), বোয়ালিয়া গ্রামের যুবক (২২), বহালগাছি গ্রামের কামাল, বোয়ালিয়ার শামিম (১৯), সরোজগঞ্জ বাজারপাড়ার পারভেজ (২৩), হাসানহাটির ঝন্টু (২৩), বোয়ালিয়ার মোকলেজ (২৬) ও একই গ্রামের ইব্রাহিম (১৮), গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মাইক্রোবাসযোগে ভুলটিয়া গ্রামে আসে। তারা ভুলটিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে সরোজগঞ্জ ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী দিলরুমাকে অপহরণ করতে আসে। এক পর্যায়ে আব্দুর রশিদের লোকজন তাদেরকে ধাওয়া করলে নাজমুল ও লিটু মাটিতে পড়ে যায়। তাদের আটক করতে পারলেও বাকি ৮ জনকে মাইক্রোবাসযোগে পালাতে সহযোগিতা করেন ভুলটিয়া গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে সোহাগ। পরে গ্রামের লোকজন সোহাগকে আটক করে ঘরে আটক করে রাখলেও সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়। এ সময় আটক নাজমুল ও লিটুকে ধরে গণধোলাই দেয়া হয়। খবর পেয়ে সরোজগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সেকেন্দার আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নাজমুল ও লিটুকে গ্রেফতার করেন। তাদের নিকট থেকে ১টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে বলে ফাঁড়ি পুলিশ জানায়।