স্টাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গার তিনটি উপজেলাসহ দেশের ৩৭৭ উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নতিপোতা ইউনিয়ন সীমানা সংক্রান্ত জটিলতায় দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ মে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রিটার্নিং অফিসার আনিছুর রহমান চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলা পরিষদের মহিলা সদস্য পদে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। ২১ মে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ছিলো। উপজেলা পরিষদে মহিলা সদস্য আসন সংখ্যা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় তিনজন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় পাঁচজন ও জীবননগর উপজেলায় ২ জন। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় আসন নম্বর ১ ও আসন নম্বর ২ এবং আলমডাঙ্গা উপজেলায় আসন ৩ নম্বরে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদরে ভোটার সংখ্যা ২৪ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ৪৮ জন ও জীবননগর উপজেলায় ২১ জন ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার সংরক্ষিত নারী সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ওলিউল্লাহ জানান, চুয়াডাঙ্গা সদরে তিনজন সদস্যের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর সুলতানা আরা রতনা ও পদ্মবিলা ইউপির সংরক্ষিত সদস্য খালেদা বেগম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাই শুধু একজন সদস্যের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ করতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
উল্লেখ্য, আজ সোমবার দেশের ৩৭৭ উপজেলায় প্রায় দেড় হাজার সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮ থেকে বিকেল ২টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। রোববার নির্বাচন কমিশনের পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আসাদুজ্জামান জানান, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনী মালামাল প্রতিটি জেলায় পৌঁছে গেছে। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন থেকে এ নির্বাচন মনিটরিং করা হবে। এ জন্য একটি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। কোথাও সমস্যা দেখা দিলে ইসি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে। এদিকে শুক্রবার রাত থেকে প্রচার কাজ শেষ হবার পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে ৩৫২ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে ৯৩ উপজেলায় ভোটগ্রহণের প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। গত ১৩ মে ৪৭৮ উপজেলায় সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে তফসিল ঘোষণা করে ইসি। সীমানা ক্রটির কারণে সাত উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত হয়। বাকি ৩৭৭ উপজেলায় সোমবার ভোটগ্রহণ করা হবে। ১ হাজার ২৪৫টি আসনে মোট প্রার্থী ২ হাজার ৫৩৬ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ১৬৮। তবে একটি সূত্র জানায়, অধিকাংশ উপজেলাতেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা কম। যারা নির্বাচিত হবেন তারা মাত্র ৮ মাস দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।