চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় সভায় জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন

 

কেমিকেলমুক্ত কলা বাজারজাতকরণের জন্য চাষি

ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রচারণা বাড়ানোর আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেছেন, কেমিক্যালমুক্ত আমের পর এবার কেমিক্যালমুক্ত কলা বাজারজাতকরণের বিষয়ে চাষি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রচারণা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। চাষি ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় কেমিক্যাল মুক্ত আম পাচ্ছে জেলাবাসী। দেশ থেকে এবার ইউরোপে রপ্তানি হচ্ছে পান। এ তালিকায় প্রথমবারের মতো নাম রয়েছে চুয়াডাঙ্গার। এজন্য কৃষি বিভাগের মাধ্যমে পানচাষিদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন এসব কথা বলেন। এ সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ হামিম হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রাজ্জাক, সিভিল সার্জন প্রতিনিধি ডা. পরিতোষ কুমার ঘোষ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুনউজ্জামান, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ কামরুল হাসান , দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাফিজ ও দর্শনা পৌর মেয়র মহিদুল ইসলামসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক জেলা পরিষদের উন্নয়ন বরাদ্দে সংসদ সদস্য মহোদয়ের উপদেশ ও নীতিমালা মেনে জেলা পরিষদের উন্নয়ন কাজ করার জন্য আগামী অর্থবছরে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান। দালাল রুখতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মোবাইলকোর্ট পরিচালনার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়। ওষুধ কোম্পানির প্রধিনিধিরা দুপুর ২টার আগে হাসপাতালে ডাক্তারদের সাথে ভিজিট করতে পারবে না। যত দ্রুত সম্ভব কর্মচারীদের আইডিকার্ড প্রদান করতে হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টয়লেট পরিষ্কার ও পানি ওঠানোর জন্য মোটরের ব্যবস্থা করার ওপর জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল বিভাগকে নজর দিতে জোর তাগিদ দেয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে পরীক্ষার জন্য ভবন নির্মাণ করা হলেও আসবাবপত্র সরবরাহ করে তা দ্রুত সমাধানের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। বীজ উৎপাদনে বিএডিসি বড় ভূমিকা রাখলেও স্থানীয় কৃষকদের বীজ উৎপাদনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখার তাগিদ দেয়া হয়। জেলায় ১ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে ১৮ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন পান উৎপাদন হয়ে থাকে। ইউরোপে পান রপ্তানির জন্য ২০০ কৃষককে নির্বাচন করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে পান রপ্তানি করা হবে।