অপহরণের জট খুললেও গুম নিয়ে ধন্ধে সিআইডি

চুয়াডাঙ্গা বদরগঞ্জ দশমীর সোহেল রানা অপহরণের দেড় বছর

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বদরগঞ্জ দশমীর সোহেল রানাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের কথা বোয়ালিয়ার ওহিদুল স্বীকার করলেও গুমের বিষয়ে ধন্ধে এখনও সিআইডি। ওহিদুলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিন্দুরিয়ার সুজন কাজিকে গ্রেফতার করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। সুজন কাজীর নিকট থেকে সোহেল রানা গুমের বিষয়ে তথ্য পাওয়া যেতে পারে। এরকমই আশা করছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির চুয়াডাঙ্গার ইন্সপেক্টর রবিউল ইসলাম।

দশমীর ইটভাটা মালিক আব্দুল বারীর ছেলে সোহেল রানা গত বছর ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর ব্যাডমিন্টন খেলে ফেরার সময় অপহৃত হয়। অপহরণের পর মুক্তিপণও আদায় করে একটি চক্র। স্থানীয় এক নেতার মাধ্যমে টাকা লেনদেন হয় বলে জনশ্রুতি ওঠে। সোহেল রানা মুক্ত হয়ে বাড়ি না ফিরলে মুক্তিপণের টাকা ওই সাবেক জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে ফেরতও দেয়া হয় বলে গুঞ্জন ওঠে। অবশ্য সন্তানহারা পিতা এসব বিষয়ে মুখ খুলতে সাহস পাননি আজো। ছেলের আশায় তিনি এখনও অপেক্ষার প্রহর গোনেন।

সোহেল অপহরণ মামলাটি প্রথমে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের নিকট ছিলো। পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ইটভাটার ম্যানেজারও রয়েছে। তাকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার করে চুয়াডাঙ্গায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদেও অপহরণ রহস্যের জট খোলেনি। অবশেষে মামলাটি সিআইডির নিকট তদন্তাধীন। এরই এক পর্যায়ে সম্প্রতি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু পুলিশের হাতে ধরা পড়ে চুয়াডাঙ্গা বোয়ালিয়ার আয়ুব আলীর ছেলে ওহিদুল। সে গত ১ জুন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ওহিদুল স্বীকারোক্তিতে দশমীর সোহেল রানাকে অপহরণ করে তাদের ডেরায় বন্দি করে মুক্তিপণের কিছু টাকা আদায়ের কথা জানালেও পরবর্তীতে সোহেল তার হাতছাড়া হয়ে যায় বলে জানিয়েছে। ওহিদুলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিন্দুরিয়ার সুজন কাজিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।